সিলেটে ২৭৯ ভারতীয় মোবাইল ফোনসহ ছিনতাইকারী চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি প্রাইভেট কার এবং ১টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। মোবাইলের বাজার মূল্য ৪১ লাখ ৮৫ হাজার আর ৩০ লাখ টাকা।
রোববার (১৭ নভেম্বর) হতে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল, নগরীর পশ্চিম শাহী ঈদগাহ এলাকার মোশারফ হোসেন খান (৩৮), দক্ষিণ সুরমার কায়স্তরাইলের জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৪), নগরীর কাজীটুলার ফারুক মিয়া (৩৬) এবং কোতোয়ালী থানার মাহমদ আলীর বাসা মাদ্রাসা রোডের জহিরুল ইসলাম সোহাগ (৩৯)।
পুলিশ জানায়, শনিবার (১৬ নভেম্বর) তেমুখী বাইপাস সড়কের ঢাকা অভিমুখী সুনামগঞ্জ রোডে পরিত্যক্ত অবস্থায় নাম্বারবিহীন একটি সোনালী রং এর এক্সিও নতুন প্রাইভেট কার উদ্ধার করে জালালাবাদ থানা পুলিশ। এসময় গাড়িটি তল্লাশি করে কিছু না পেয়ে জালালাবাদ থানায় নিয়ে আসা হয়।
পরে গাড়ীটি সম্পর্কে অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। অনুসন্ধানে জানা যায়, নগরীর সাগরদিঘীরপাড় ফিজা ফ্যাক্টরির সামনে দুষ্কৃতিকারীরা ফেলে রেখে চলে গেলে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানা হওয়ার পূর্বেই একজন মোটরসাইকেল চালকসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে গাড়িটি দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় বাজার কমিটিকে অবিহিত করে।
পরে গাড়িটি তেমুখী বাইপাস সড়কের ঢাকা অভিমুখী সুনামগঞ্জ রোডে পৌঁছে রাস্তার পার্শ্বে দাড় করিয়ে এই গাড়ির পিছনের ঢালায় থাকা অবৈধ মালামাল অপর একটি পুরাতন প্রাইভেট কারে স্থানান্তর করে নতুন এক্সিও গাড়িটি ফেলে রেখে পুরাতন প্রাইভেট কার যোগে মালামাল নিয়ে সিলেট শহরের দিকে চলে যায়।
অনুসন্ধানকালে জানা যায় যে, এক্সিও প্রাইভেট কারের পিছনের ঢালায় ভারত হতে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন কোম্পানির এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট চোরাই পথে আনার সময় এয়ারপোর্ট রোডের বাইপাস হতে একটি মোটর সাইকেল এবং একটি পুরাতন প্রাইভেট কার এই মালামাল বহনকারী এক্সিও কারটিকে পুলিশ অনুসরণ করছে ভেবে চোরাকারবারিরা এক্সিও গাড়ীটি সাগরদিঘীরপাড় ফিজা ফ্যাক্টরির সামনে রেখে পালিয়ে যায়।
ফিজা ফ্যাক্টরির সামনে ফেলে রাখা গাড়ীটি ধাওয়া দেওয়া পার্টিটি নিয়ে যায় এবং বাইপাস সড়কের ঢাকা অভিমুখী সুনামগঞ্জ রোডে নিয়ে মালামাল তাদের গাড়িতে স্থানান্তর করে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) মো. জেদান আল মুসা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পলাতক থাকা আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। একই সাথে গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইন ২৫-বি এবং দ্রুত বিচার আইনে পৃথক ২টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।