শেখ শহীদুল ইসলাম সিলেট জেলার বিশ্বনাধ উপজেলার ৭নং দেওকলস ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের ১৯৫৭ইং সনের ২০ই মার্চ একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি মরহুম শেখ মোঃ আব্দুল ছত্তার ও মরহুমা মোছাঃ তুফাতুন্নেছা দম্পত্তির দ্বিতীয় পুত্র। তাঁর চাচা মরহুম আব্দুল মনাফ মুক্তিযোদ্ধা। শেখ শহীদুল ইসলামের ভাই শেখ শমছুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক। সেই সুবাদে তিনিও মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ১৯৬৮ সালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি, ১৯৭৪ সালে এমসি কলেজ ছাত্র সংসদ এর সাহিত্য ও বিতর্ক সম্পাদক, বৃহত্তর জেলা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। ১৯৯০ সালে বিশ^নাথ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক, ১৯৯৫ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, পরবর্তী কমিটিগুলোর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য। ২০০১ সালে তিনি বিশ^নাথ-বালাগঞ্জ আসন থেকে নৌকা মার্কা প্রতীকের জন্য দলের নিকট মনোনয়ন চেয়ে ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত। তিনি সিলেটস্থ বিশ^নাথ সমিতির সাধারণ সম্পাদক, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুই দুই বারের পরিচালক ও সমিতি বোর্ডের সচিব ছিলেন। শেখ শহীদুল ইসলাম সক্রিয় রাজনীতি করার কারণে বিভিন্ন সময় হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিগত ১১/১২/২০১০ইং তারিখে বিএনপি-জামায়াত নামধারী কিছু দুস্কৃতিকারী বিশ^নাথ সদরে নিজ বাসায় ফেরার পথে দেশী অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা করে। সিলেট শহরে বিএনপি আমলে আওয়ামী লীগ করার অপরাধে মিরাবাজারস্থ তার ভাইয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক দখল করে নেয়। ত্যাগী, পরিক্ষিত, নির্যাতিত এই নেতা বলেন আমার পরিবার মুক্তিযোদ্ধা। আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। ১৯৬৮ সাল হইতে আজ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে জননেত্রী বাংলার দু:খী মানুষের নেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুদামুক্ত, দরিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ বিনিমানে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করে যাবেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মনে খুবই কষ্ট লাগে যখন কোন দলের নির্যাতিত ত্যাগী, সৎ, পরিক্ষিত নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে নিজের বলয়কে শক্তিশালী করতে সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি হাইব্রিড, কাউয়া, অনুপ্রবেশকারীদেরকে দলে স্থান দিয়েছেন, তারা বসন্তের কোকিল। দলের দুর্দিনে তাদেরকে ৫০০০ পাওয়ারী বাল্ব জালিয়েও খোঁজে পাওয়া যাবে না। বিশ^নাথ আওয়ামী লীগ সর্ম্পকে শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালের উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলনে গোপন ভোটে প্রার্থী নির্বাচন না করে কণ্ঠ ভোটে প্রকাশ্যভাবে প্রার্থী নির্বাচন করার ফলে ও পরবর্তীতে এক পক্ষকে প্রধান্য দিয়ে কমিটি গঠনে আজ উপজেলা আওয়ামী লীগ ২/৩ভাবে বিভক্ত। শেখ শহীদ বলেন, আগামী ৫ডিসেম্বর সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। উক্ত সম্মেলনে আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী। জেলার ১৩টি উপজেলার সকল কাউন্সিলার ভেলিগেট ভাই, বোন ও বন্ধুদের প্রতি আমার আবেদন। আপনারা যদি আমাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন প্রত্যেক উপজেলার বিভাজন, গ্রæপিং, উর্দ্বে উঠে আপনাদের সেবক হয়ে দলকে গতিশীল ও শক্তিশালী করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখব।