সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়ে কোম্পানীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাত জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির (৭০)। হামলায় আহতরা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের পুত্র উসমান গণি(৪৫), সোলেমান (৪১), লোকমান হেকিম (২৮) ও পুত্রবধূ জুলেখা বেগম (২১), শিল্পী বেগম (২৬)।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসাধীন লোকমান হেকিমের ডান ও বাম হাতের ৬টি আঙ্গুল কেটে যাওয়ায় একাধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে। জুলেহা বেগমের বাম হাতেও একাধিক সেলাই লেগেছে। অন্য দিকে উসমান গণির ডান পায়ে ও শরিরীলের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় অস্ত্র ধারা আঘাত করায় হাড় ফেটে যাওয়ার আশঙ্কায় এক্স-রে করে রিপোর্টের অপেক্ষা করে হাসপাতালের বেডে কাৎরাচ্ছেন। সোলেমান ও শিল্পী বেগম দু’জনের পায়ে, পিঠে ও হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউপির জীবনপুর মৌজায় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের দশ কেয়ার জমি রয়েছে। সেই জমি দখল করতে বিভিন্ন সময় ও তারিখে বিবাদীরা চেষ্টা করে। ঘটনার দিন রবিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জমি দখলের চেষ্টা করলে মামলার বাদীর ছেলে ও ছেলের বউয়েরা বাঁধা দিলে তাদের উপর হামলা করে।
এ ব্যাপারে সিলেট৭১নিউজকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির বলেন, আমার গ্রামের হাতিম আলীর কাছ থেকে নগদ টাকায় জমি ক্রয় করেছিলাম অনেক আগে। হাতিম আলী আমার কাছে জমি বিক্রয় করে দখল বুঝিয়ে দিয়ে কিছুদিন পরে সেই জমি দখলের শুরু চেষ্টা। রবিবার সকালে জমি দখলের চেষ্টা করলে আমার পরিবারের লোকজন বাঁধা দিলে তাদেরকে হামলা করে আহত করেছে। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ঘটনার তদন্ত পূর্বক প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দাবি করছি।
ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, আমি জৈন্তাপুরে নির্বাচন ডিউটিতে থাকায় সোমবারে (০৭ ফেব্রুয়ারি) তদন্ত করতে পারি নাই মঙ্গলবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
অনুসন্ধানে জানা যায়, হাতিম আলী ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে কোম্পানীগঞ্জ থানায়। সর্বশেষ গত বছরের ১১ এপ্রিল হাতিম আলী ও তার ছেলে আলম মিয়া, শামীম আহমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় একটি মামলায় হয় (মামলা নম্বর ৭)।
এর আগে ৩ এপ্রিল হাতিম আলীর ছেলেদের বিরুদ্ধে একজন হকারকে মারধোর করে আহত করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠলে থানায় মামলা হওয়ার আগেই স্থানীয়দের মাধ্যমে হকারের চিকিৎসা খরচ ও ছিনতাই হওয়া টাকা ফেরত দিয়ে মীমাংসা করে।
আইআর/ ০৮ ফেব্রুয়ারি