নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) গুরুত্বপূর্ণ ৯টি প্রকল্পের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এসব প্রকল্পে দ্রুত ছাড় দিলে সিলেটের উন্নয়নে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।সিসিক সূত্র জানায়, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ড্রেনেজ নির্মাণ, দক্ষিণ সুরমায় বাস টার্মিনাল নির্মাণ ও সড়ক উন্নয়ন কাজ।
এসব প্রকল্পের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। এর বাইরে সিলেটের আরও ৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে চারটি প্রকল্প অগ্রাধিকারভিত্তিতে অনুমোদন পাওয়ার কথা রয়েছে। অনুমোদিত হলেই এগুলো কাজ শুরু করা হবে।জানা গেছে, অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে- সিলেটের ৭৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি শোধনাগার, ১২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি খেলার মাঠ নির্মাণ, বর্ষায় ভেঙে যাওয়া রাস্তাঘাটের সংস্কারের জন্য ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প ও হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার ও মসজিদের উন্নয়নের জন্য ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প। এর বাইরে সিলেটের ৬, ১১ ও ১২নং ওয়ার্ডে স্কুল নির্মাণ প্রকল্প, এসফল্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রকল্প, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন প্রকল্প, কাউন্সিলরদের স্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের জন্য প্রকল্প, নগরীতে বহুতল কার পার্কিং প্রকল্প ও চৌহাট্টাসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সম্প্রসারণ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে জমা আছে। এগুলো দ্রুত অনুমোদনের বিষয়ে সিলেট-১ আসনের এমপি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনকে বিষয়টি অবহিত করে তাঁর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আজিজুর রহমান গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রকল্পগুলো অনুমোদিত হলে কাজ শুরু করা সম্ভব। পানি শোধনাগার, মাজার ও মসজিদের উন্নয়ন এবং সড়ক সংস্কারের প্রকল্প আগে অনুমোদিত হলে যে-কোনো সময় কাজ শুরু করা যাবে।সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী গনমাধ্যমকে বলেন, নয়টি প্রকল্পের সবকটি’র প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এগুলো দ্রুত অনুমোদনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন। তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছেন
বিএ/২৮ জানুয়ারি