স্টাফ রিপাের্ট: সড়ক বেরিকেড দিতে এলোপাথাড়ি ট্রাক রাখা। দেশীয় অস্ত্র লাঠি ও রড হাতে মারমুখী শ্রমিকরা। হালকাযান বা ব্যক্তিগত গাড়িও দেখলেই আটকাচ্ছেন। যানবাহন আটকিয়ে শ্রমিকদের মারমুখী অবস্থানের কারণে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন এসএসসি পরিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
যদিও যানবাহন আটকানোর পর জেরা করে পরিক্ষার্থী জেনে ছেড়ে দেওয়া হয়। এমন ঘটনা বেশ ঘটেছে সিলেটে চলা ধর্মঘটে।
সোমবার (২২ নভেম্বর) সকাল থেকে ধর্মঘট পালন করতে গিয়ে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত করতে শ্রমিকদের এমন তৎপরতা দেখা গেছে। তবে এখনো কোথাও কোনো ধরনের সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সিলেটের কুমারগাঁও এলাকাস্থ তিমুখী পয়েন্টের সড়কে ট্রাক রেখে অবরোধ করে রেখেছেন শ্রমিকরা। সড়কে এলোপাথাড়ি ট্রাক রেখে ব্যক্তিগত যানবাহনও চলাচল করতে দিচ্ছেন না। একই প্রক্রিয়ায় নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাক দিয়ে রাস্তা আটকিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে ধর্মঘটের আওতামুক্ত পরিবহনও চলতে পারছে না।
পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার, সড়কে পুলিশের হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে রোববার (২১ নভেম্বর) শ্রমিকদের এক সভা থেকে ধর্মঘট আহ্বান করা হয়। ফলে সোমবার (২২ নভেম্বর) ভোর থেকে সিলেট বিভাগে অনির্দিষ্টকাল পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, ধর্মঘটে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, সেদিকে নজর রাখা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, মহানগরীর প্রবেশদ্বারগুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। সেসঙ্গে এসএসসি পরিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে যেতেও নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নেতারা বলছেন, মামলা প্রত্যাহার, পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা এবং মেয়াদ পেরোনোর পরও সেতুতে টুল আদায়সহ ৫ দফা দাবিতে গত ৯ নভেম্বর সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। দাবি বাস্তবায়ন না করায় অনির্দিষ্টকাল পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেন।
এবিএ/২২ নভেম্বর