স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে নগরীর চৌহাট্টায় পুলিশের মোটরসাইকেল থেকে উদ্ধার হওয়া ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’টির রহস্য উন্মোচন হলো। ওয়ার্কসপের মেকানিকের ভুলে মোটরসাইকেলে থেকে যায় ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’টি। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্ত কমিটি অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে আলোচিত এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে।
এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া ও কমিউনিটি সার্ভিস) জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, ৫ আগস্ট ট্রাফিক পুলিশের ঐ সদস্য দুপুর ২টার দিকে ডিউটিতে যাওয়ার আগে মোটরসাইকেলটি কাজ করার জন্য নয়াসড়কের মুন্না ওয়ার্কশপে নিয়ে যান। মেকানিক কিছু যন্ত্রাংশ কেনা লাগবে বলে জানায়। এসময় ডিউটির সময় হয়ে গেলে মোটরসাইকেলটি ওয়ার্কশপে রেখে যান। পরে ওয়ার্কশপের কর্মীরা মোটরসাইকেলটি মেরামত করে ট্রায়াল দেন। তখন ওয়ার্কশপের এক কর্মী ভুলবশত ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’টি মোটরসাইকেলে রেখে দেয়।
জ্যোতির্ময় সরকার আরো বলেন, গ্রাইন্ডিং মেশিনটি নষ্ট হওয়ায় ওয়ার্কশপের কর্মীরা আর খোঁজ করেনি। হয়তো অসাবধানতাবশত বা পুলিশের গাড়িকে নিজেদের গাড়ি মনে করে বাসা বা অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ীতে রাখে। তবে তাদের মধ্যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য না থাকায় এ বিষয়ে কোনো মামলা হচ্ছে না জানিয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, মূলত দায়িত্বে অবহেলার জন্য তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি মোটরসাইকেল ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে। সব মিলিয়ে তার ব্যাপারে ডিপার্টমেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে।
এরআগে গত ৫ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যার দিকে ট্রাফিক সার্জেন্ট চয়ন নাইডুর মোটরসাইকেলটি নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে রেখে চা খেতে যান। ফিরে এসে দেখতে পান মোটরসাইকেলে বোমাসদৃশ একটি বস্তুু। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে দ্রæত ঘটনাস্থলে এসে ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দীর্ঘ ২২ ঘন্টা আতংকে কাটাতে হয় নগরের বাসিন্দাদের। পরদিন ৬ আগস্ট বিকেল চারটায় সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের একটি বোম ডিসপোজাল টিম অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল থেকে বোমাসদৃশ্য বস্তুটি উদ্ধার করে। অভিযান শেষে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হলো উদ্ধার করা বস্তুুটি বোমা নয়, এটি গ্রাইন্ডিং মেশিন।