July 4, 2025, 7:33 am

সংবাদ শিরোনাম :
সিলেট মহানগরীর ১৪নং ওয়ার্ডে তালামীয ইসলামিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সাংবাদিকের উপরে মিথ্যা মামলা কোম্পানীগঞ্জে ফ্যাসিস্টের দোসরদের পুণর্বাসন নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে বিএনপি নেতার উপর হামলা মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিচার শুরু কুলাউড়ায় বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশির লাশ তুলে নিল ভারত মাহি-শাবাব হত্যার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি যুক্তরাজ্যে ছবি ভাইরাল: নবীগঞ্জে ওয়ালিদের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ কুলাউড়া সীমান্তে আবারও পুশইন, ১৪ জন আটক ওসমানী হাসপাতালে সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ সিলেট সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৬ জনকে আটক হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সাবেক এমপি ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে ছাত্রশিবিরের কোরআন কুইজে হিন্দু শিক্ষার্থীর বিজয় সারা দেশে গণজমায়েতের ডাক এনসিপির প্রতিটি রক্তবিন্দুর প্রতিশোধ নেয়া হবে: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারের আপিল শুনানি শেষ, রায় ২৭ মে এম.সি কলেজ তালামীযের কাউন্সিল সম্পন্ন স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মিজানকে জড়িয়ে অপপ্রচারের নিন্দা ও হুমকিদাতাকে গ্রেফতারের দাবি সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে বাংলাদেশী নিহত দিরাইয়ে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৬ ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত কৃষকদের কথা সবার চিন্তা করতে হবে – সুনামগঞ্জে কৃষি উপদেষ্টা শাবিতে ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম তামাবিল দিয়ে ১৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো ভারত এসএসসি পরীক্ষা > সিলেট বোর্ডে অংশ নিচ্ছে ১ লাখ ২ হাজার ৮৭২ জন পরীক্ষার্থী বড়লেখায় মসজিদের ভূমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১০ : ৭ জনের নামে থানায় মামলা বড়লেখা উপজেলাসহ দেশ ও প্রবাসীদের ঈদের শুভেচছা জানিয়েছেন জননেতা সাইদুল ইসলাম রহমানীয়ায় দারুল কিরাতের বিদায়ী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ বড়লেখায়  যুবদল নেতা নুরুল তাপাদারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে কুলাউড়ায় বাড়িঘরে হামলা, লুটপাটের অভিযোগ আগামী নির্বাচন পৃথিবীতে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে, এমনটাই আশাবাদ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব
ফেঞ্চুগঞ্জে মায়ের লাশ নিয়ে ৩ দিন ঘরবন্দি ছিল সন্তানরা

ফেঞ্চুগঞ্জে মায়ের লাশ নিয়ে ৩ দিন ঘরবন্দি ছিল সন্তানরা

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:সম্পদের জন্য চাচারা যদি মারধর করে বের করে দেন, এ জন্য মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি সন্তানরা কাউকে জানাননি। এ জন্য মৃত মায়ের মরদেহ তিন দিন ঘরে রেখেই চলছিল তাদের জীবনযাপন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে অ্যাম্বুলেন্সচালক টাকা চাইতে বাড়িতে গেলে ঘরে মরদেহ রাখার ঘটনাটি জানাজানি হয়। পরে বাড়ির আত্মীয়স্বজনরা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এমন ঘটনা ঘটেছে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদরের রাজনপুর গ্রামে। ঘটনাটি জানাজানির পর এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে নিহতের স্বজন ও স্থানীয় জনতার সহায়তায় দাফন করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা সদরের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ছানা মিয়া গত ২ জানুয়ারি মারা যান। স্ত্রীর সঙ্গে তেমন বনিবনা ছিল না। যে কারণে ছানা মিয়ার স্ত্রী চল্লিশোর্ধ জেসমিন বেগম এক ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে সিলেট নগরীতে বসবাস করতেন।

অসুস্থ অবস্থায় গত শনিবার নগরীর উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

ওই দিন গভীর রাত ৩টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান ছেলেমেয়েরা। এর পর থেকেই তারা ঘরবন্দি ছিলেন। বাড়ির আশপাশের লোকজনও জানতেন না ঘরের ভেতর মরদেহ রাখা!

স্থানীয়রা আরও বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে অ্যাম্বুলেন্সচালক টাকা চাইতে বাড়িতে গেলে ঘরে মরদেহ রাখার ঘটনাটি জানাজানি হয়। পরে বাড়ির আত্মীয়স্বজনরা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

বাড়ির লোকজন জানান, সাংসারিক জীবনে ছানা মিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রীর দূরত্ব থাকলেও প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পদ বিক্রি করে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ দিয়ে গেছেন। কিন্তু তারাও ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারেননি। আর মরদেহের সঙ্গে একই ঘরে বসবাসের বিষয়টি সন্তানদের মানসিক সমস্যা হিসেবে দেখছেন তারা। কেননা তারাও জানতেন ঘরে লোকজন আছে। কিন্তু ডাকাডাকি করলেও জবাব দিতেন, কিন্তু দরজা খুলতেন না। এমনকি বাবার মৃত্যুর পর মরদেহ দেখতেও আসেননি স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা।

এ ঘটনার পর মৃতের ছেলে সনি, মেয়ে সুমা, উমা ও ইমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারা পুলিশকে জানায়, সাংসারিক জীবনে তার বাবা-মায়ের মধ্যে দূরত্ব ছিল। বাপ-চাচারা ৫ ভাই।

বাবা আগেই মারা গেছেন। মাও মারা গেছেন। সম্পদের জন্য চাচারা যদি মারধর করে বের করে দেন, এ জন্য তারা মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি কাউকে জানাননি। এমনকি দাফন করতে না পারায় মরদেহ ঘরে রেখে দেন।

ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি শাফায়াত হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ওই নারীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের দেওয়া মৃত্যুসনদও রয়েছে। তবে মৃতের সঙ্গে সন্তানদের ঘুমানোর বিষয়টি অস্বাভাবিক।

যদিও তারা সুস্থ আছেন। মানসিক সমস্যার কারণে তারা এমনটি করতে পেরেছে। এর পর রাতে পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনার পর মরদেহ দাফন করা হয়। আর স্বাভাবিক মৃত্যুর কারণে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

সিলেট৭১নিউজ/টিজা





Calendar

July 2025
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  



  1. © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2017 sylhet71news.com
Design BY Sylhet Hosting
sylhet71newsbd