সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: কীভাবে অস্ত্র চালাতে হয়, মানুষ হত্যা করতে হয় সেই কৌশল শেখানোর নাটক সাজিয়ে গলায় ফাঁস ও গলা কেটে হত্যা করা হয় ঝিনাইদহের ভ্যানচালক রেজাউলকে। পূর্বশত্রুতার জের ধরেই তাকে হত্যা করা হয়। এমন লোমহর্ষক হত্যার বর্ণনা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় কয়েকজন আসামি। কে ডেকে নিয়ে যায়, কত টাকায় হত্যার চুক্তি করা হয় তাও উঠে আসে জবানবন্দিতে।
তবুও ১১ বছরেও বিচার পায়নি নিহত রেজাউলের পরিবার। হত্যায় অংশ নেওয়া, হত্যার পরিকল্পনাকারীরা এখন জামিনে মুক্ত হয়ে প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলার বাদী স্ত্রীকে টাকা দিয়ে মীমাংসার নাটক সাজিয়েছে আসামিরা। বিচার না পেয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন নিহতের ভাই-স্বজনরা।
জানা যায়, ২০১০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের পেছনে জনৈক দেলোয়ার হোসেনে বাগান থেকে মুরারীদহ গ্রামের মৃত গোলাম আকবরের ছেলে ভ্যানচালক রেজাউলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গলায় ফাঁস ও গলা কেটে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আনজিরা খাতুন বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে পরদিন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় মুরারীদহ গ্রামের রাজ্জাক হোসেনের ছেলে আবুল কাশেম, মৃত রহিম বক্সের ছেলে বশির উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কবির হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।
এ মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে ঝিনাইদহ সদর থানার তৎকালীন এসআই নিরব হোসেন। পরবর্তীতে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এজাহার নামীয়সহ ১৭ জনের নাম আসে মামলায়।
পুলিশ এর মধ্যে মামলার ২ নম্বর আসামি বশির বাবা রহিম বক্স ছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। এর মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদসহ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়। এদের মধ্যে আরিফ হোসেন, মঞ্জুর আলম ও রাজু শেখ নামের ৩ আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পুলিশ তদন্তে বেরিয়ে আসে পরিকল্পিত এই হত্যার প্রধান হত্যাকারী রঞ্জিত। সে গ্রেফতার হলে একবার রিমান্ড নেয় পুলিশ। কিন্তু ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয় না সে। তবে হত্যার দায় স্বীকার করে।
সিলেট৭১নিউজ/সময়/আবিদ