সিলেট:: ‘জাতীয় ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এবং চলবে ১৭ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত। শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ‘এ’ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুপুষ্টি। তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে রাতকানা থেকে শুরু করে জেরোপথ্যালমিয়া’র মত রোগ হতে পারে যাতে করে চোখের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ লোপ পেতে পারে। এছাড়া ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ও ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল বৃদ্ধি পায়। রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় ও ত্বকের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়।’
গতকাল বুধবার সিলেট নগরীর সিভিল সার্জন অফিস-এর ইপিআই সম্মেলন কক্ষে সিলেটের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল এ কথা বলেন।
তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, কোভিট- ১৯ প্রেক্ষপটে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন-এর গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খেলে কোভিট-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। তিনি বলেন, এ লক্ষে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের জন্য নীল ক্যাপসুল (১ লক্ষ ইউনিট), ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের জন্য লাল ক্যাপসুল (২ লক্ষ ইউনিট) খাওয়ানো হবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো: নুরে আলম শামীম, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বণিক ও সিলেট বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক মো: ফখরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন করেন ডা.স্বপ্নীল সৌরভ রায়। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, ডা. আমজাদ হোসেন।
সভায় জানানো হয়, এবার সিলেট জেলার ১২টি উপজেলায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করা হবে। ৬-১১ মাস শিশুর মধ্যে স্বাভাবিক ৪৯৬৯৫ জন, প্রতিবন্ধী ১৭৫ জন শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ১২-৫৯ শিশুর মধ্যে স্বাভাবিক ৪১০৯৬৫ জন, ৬৮২ জন প্রতিবন্ধী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সিলেট জেলায় স্থায়ী কেন্দ্র ১২টি, অস্থায়ী কেন্দ্র ২৪১৬টি, অতিরিক্ত কেন্দ্র ১২টি ও মোট কেন্দ্র ২৪২৮টি। ৪৮৫৬ জন স্বেচ্ছাসেবক এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
সভায় বলা হয়, জন্মের পর পরই নবজাতক শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানো, জন্মের পর প্রথম ৬ মাস শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ সবুজ শাখ সবজি ও হলুদ ফল খাওয়ানো এবং রান্নায় ভিটামিন ‘এ’ সৃমদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার করা দরকার।