সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার নাজিরবাজার-খন্দকার বাজার সড়কে খোলাভাবে ট্রাক, ট্রাক্টর করে মাটি পরিবহনের কারণে রাস্তায় মাটি পড়ে পিচ্ছিল হয়ে ওঠায় দুর্ঘটনা ঘটছে। খোলাভাবে মাটি পরিবহনের ফলে জনগণের চলাচল এবং চোখের ক্ষতি ও দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত এ অবস্থা চলতে থাকলেও প্রশাসন এ ব্যাপারে সম্পূর্ন নিরব। ফলে এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, গত মাস খানেক থেকে রুনীয়ার হাওর থেকে সিলেটের বহুল পরিচিত ও জনবহুল নাজিরবাজার-খন্দকার বাজার সড়ক দিয়ে বিভিন্ন ইট ভাটা ও নতুন বাড়ীঘর নির্মাণে ব্যবহৃত মাটি পরিবহণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন এসব পরিবহণ কালিন মাটি রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় বৃষ্টি ও কুয়াশায় কাদায় পরিনতে হয়ে পুরো রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। এতে চলাচলকারী যানবাহন গুলো প্রায়ই দূর্ঘটনায় পতিত হয়। তাছাড়া অধিক মাটি পরিবহণের ফলে রাস্তার ঢালাই কোথাও কোথাও ফাটলসহ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি রাস্তার পাশে ব্যবহৃত ইটগুলো উঠে গিয়ে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গণের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে এ রাস্তা দিয়ে যান এবং জন চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
চিন্তামনি-খন্দকার বাজার সড়কে মাটি পরিবহণের ব্যাপারে গত ১৭জানুয়ারী শুক্রবার সন্ধায় ওসমানীনগর উপজেলার চিন্তামনি গ্রামে কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় দূর্ঘটনা সৃষ্টিকারী অবৈধ মাটি পরিবহণকারী ট্রাক ও ট্রাক্টরকে প্রতিহতের ঘোষণাসহ এব্যাপারে প্রশাসনকে অবগত করার সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হয়।
গত শুক্রবার সড়কের চিন্তামনি এলাকায় রাস্তায় মাটি পড়ে থাকার কারণে কুয়াশা এবং বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় পর পর কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিন্তামনি গ্রামের বাসিন্দা জানান, জনবহুল নাজিরবাজার-খন্দকার বাজার সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অগণিত ট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে রুনিয়ার হাওর থেকে মাটি জেলার বিভিন্ন স্থানের ইট ভাটা ও বাড়ীঘর তৈরিতে পরিবহণ করা হচ্ছে। অত্যাধিক পরিবহণের ফলে সড়কটির শুধু স্থায়িত্ব নষ্ট হচ্ছে না বরং চলাচলকারী যান এবং জনসাধারণকে দূর্ঘটনার আশংকায় থাকতে হচ্ছে। প্রশাসন সুদৃষ্টি দিলে এসব অবৈধ মাটি পরিবহণ করা বন্ধ হবে বলে তিনি মনে করেন।
এব্যাপারে আলাপকালে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার জানান, এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অবগত করবেন বলে আশ্বস্থ করেন।