নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ-মানিকোনা সড়কের একটি অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ছোট-বড় হাজারো যানবাহন চলাচল করছে। গত বছরের শীত মৌসুমে উপজেলার গঙ্গাপুর এলাকার সড়কের এই অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ফেঞ্চুগঞ্জ-মানিকগঞ্জ সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রায় ছয় মাস এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি জরিপ দল ভাঙন এলাকায় জরিপকাজ পরিচালনা করেন। এরপর সংশ্লিষ্টদের আর কোনো খবর নেই। ভাঙনরোধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের ভাঙন অংশে ইট সলিং করা। সড়কের একটি অংশ নদীতে ধসে পড়েছে। ভাঙনের ফলে সড়কের ইটগুলো এলোপাতালি ভাবে পড়ে আছে। সড়ক দিয়ে ভারী যনবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। নদী তীরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ গঙ্গাপুর এলাকার সড়কের সিংগভাগ ইতিমধ্যে নদীতে চলে গেছে। সড়কের অবশিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীবাহী সহ ভারী মালামালবাহী যানবাহন চলাচল করছে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জরুরী ভিত্তিতে সড়কের ভাঙনরোধে ব্যবস্থা না নিলে ফের ফেঞ্চুগঞ্জ-মানিকগঞ্জ সড়কের যানবাহন চলাচল বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংষ্কা রয়েছে এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গোলাপগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ-মানিকগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী অটোরিকশা (সিএনজি) চালক আব্দুর রহমান বলেন, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন গোলাপগঞ্জ উপজেলার শত শত যাত্রী ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সদরে চলাচল করে থাকে। সড়কের ভাঙন অংশে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। সড়কের অবশিষ্ট অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেলে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
মানিকোনা গ্রামের বাসিন্দা তারেক আহমদ বলেন, ভাঙন এলাকার ভাঙনরোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। কর্তৃপক্ষ শুধু পরিদর্শনে সীমাবদ্ধ থাকেন।
গঙ্গাপুর গ্রামের তাজির হোসেন বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকবে না।
৫নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ- মানিকগঞ্জ সড়কের গঙ্গাপুর এলাকার নদী ভাঙন অংশ ফের নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। এই এলাকায় বিকল্পভাবে সড়ক ব্যবহার করার জন্য ইতিমধ্যে সিলেট
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সহ উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ,এস,এম জাহিদুর রহমান বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।