এসবিএন, সর্দার মুজাহিদুল ইসলাম, দিরাই প্রতিনিধিঃ দিরাইয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কিন্তু গ্রাহকদের এমন অভিযোগ থাকলেও মোবাইল অপারেটর কোম্পানী টাকা আদায়কারী রিটেলারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সরকার অবৈধ সিম ব্যবহার রোধে বিনামূল্যে মোবাইল গ্রাহকদের সিম পুন:নিবন্ধন করার জন্য গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক ও সিটিসেলসহ বিভিন্ন সিম অপারেটরদের নির্দেশ প্রদান করে।
এরই অংশ হিসেবে সারা দেশের ন্যায় বড়লেখায় বিভিন্ন কোম্পানীর সিম নিবন্ধনের কাজ শুরু হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন কাস্টমার সার্ভিস ও রিটেলার গ্রাহক সেবা সেন্টার রয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করার জন্য।
প্রথমে মোবাইল অপারেটর কোম্পানীর অনুমোদিত রিটেলাররা সিম নিবন্ধনের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা না নিলেও এখন প্রায় সব কোম্পানীর অনুমোদিত রিটেলাররা সরকারী ফিসের নামে টাকা আদায় করছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, কোম্পানীর নির্ধারিত কমিশন পাওয়া সত্ত্বেও গত কয়েকদিন ধরে প্রায় সব কোম্পানীর অনুমোদিত কাস্টমার সার্ভিস ও রিটেলাররা সিম নিবন্ধনের জন্য ৩০-৫০ টাকা করে প্রতিটি সিমের জন্য সার্ভিস চার্জ নিচ্ছেন।
এমনকি টাকা না দিলে রিটেলাররা সিম নিবন্ধন করেন না বলে গ্রাহকরা অভিযোগ করেন। দিরাই উপজেলা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হক জানান, পৌর শহরের থানা রোডস্ত জেএস ট্রেডার্সের গ্রামীণ ফোন রিটেলার সার্ভিসে গেলে তার কাছে ৪০ টাকা সার্ভিস চার্জ দাবি করা হয়। তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রিটেলার সিম নিবন্ধন করবে না বলে জানান।
উপজেলার রাজানগর গ্রামের আজহারুল দিরাই বাস স্টেশনের মুন্না টেলিকম সেন্টারের সিম রেজিস্ট্রেশনে ২০-৩০ টাকা করে আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেন।
এদিকে সিম রেজিস্ট্রেশনের এজেন্টরা বলছেন, কোম্পানী তাদের যে কমিশন প্রদান করে তাতে না পোষানোর কারণে বাধ্য হয়ে গ্রাহকদের নিকট থেকে টাকা আদায় করছেন।
এ বিষয়ে জানতে গ্রামীণ ফোনের কাস্টমার কেয়ারের (প্রধান কার্যালয়) কাস্টমার ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করা হলে গ্রাহকদের তিনি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।