সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: ভারতের গুজরাটে স্ত্রীক বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়ে খুন করে দেশে ফিরে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন যশোরের কামরুল ইসলাম (৩০)।
বুধবার (১১ মে) মধ্যরাতে যশোর সদরের বসুন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত কামরুল সদর উপজেলার বানিয়ারগাতী সাকিনস্থ ইউনুস আলীর ছেলে।
যশোরের ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, কামরুল ইসলাম গত ১৫ এপ্রিল নিজ স্ত্রী সালমা খাতুনকে (২৪) চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে ভারতে নিয়ে গুজরাট রাজ্যের আনান্দ্ব জেলার ভালেজ থানা এলাকায় আটকে রাখেন। সেখানে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তাকে একটি ভাড়া বাসার মধ্যে নাকে-মুখে আঘাত করে ও শ্বাসরোধে হত্যার পর তার লাশ ফেলে রেখে দেশে পালিয়ে আসে। স্বজনরা তার স্ত্রী সালমা খাতুনের অবস্থান জানতে চাইলে স্বজনদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন কামরুল ইসলাম। সালমা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় স্বজনদের। এরপর সালমা খাতুনের পিতা সহিদুল ইসলাম বুধবার (১১ মে) যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন।
এদিকে ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় রহস্য উদঘাটন ও ভিকটিম উদ্ধারের জন্য কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। নির্দেশনা পেয়ে থানা ও ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম তদন্তে নামার পর পুলিশ জানতে পারে, ভিকটিম সালমা খাতুনকে ভারতের গুজরাট রাজ্যে নিয়ে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সালমা খাতুনকে হত্যা করে দেশে এসে পালিয়ে আছে কামরুল।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিমান তরফদার জানান, ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার ও এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে ১২ মে রাত ১২টার দিকে বসুন্দিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রী সালমা খাতুনকে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে আসে বলে স্বীকার করেছেন।
পুলিশ আরো জানায়, এ সময় পুলিশ আসামির তিনটি পাসপোর্ট, সালমা খাতুনের পাসপোর্ট ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান