নীরব চাকলাদার : ইউনিয়ন পরিষদের প্রস্তাবিত ভূমি নিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতির আভাস পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৫ নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে। ওই পরিষদের জন্য স্থায়ী ভবন নির্মাণের লক্ষে প্রথম দফায় পছন্দকৃত প্রস্তাবিত ভূমিকে পাশ কাটিয়ে অপর একটি ভূমিকে পছন্দের তালিকায় রাখা হয়েছে। বর্তমানে দুটি ভূমিই রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। এই অবস্থায় ৫ নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নবাসীর প্রশ্ন- কোনটিতে নির্মাণ হচ্ছে ইউনিয়ন অফিসের স্থায়ী ভবন? একই সাথে প্রশ্ন উঠেছে একটি ইউনিয়ন অফিসের জন্য কেনোই বা দুটি পৃথক ভূমি রেজিস্ট্রিকরণ হলো ?
স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী সিলেট-৩ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের উদ্যোগে ৫নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের দেশী এবং প্রবাসীদের সহায়তায় ইউনিয়ন অফিসের জন্য ৩০ শতক ভূমি দাম সাব্যস্থক্রমে নির্ধারণ করা হলেও ওই ভূমিটি অদৃশ্য শক্তির ইঙ্গিতে রেজিস্ট্রারি করে দিতে অসম্মতি প্রকাশ করেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন। কিন্তু প্রস্তাবিত ভূমি সিলেট ৩ আসনের উপ নির্বাচন পরবর্তী পাশ কাটিয়ে পার্শ্ববর্তী অপর একটি পক্ষের পছন্দকৃত ৩০ শতক ভূমি তিনি দ্রুত রেজিস্ট্রারি করে দেন। এই ঘটনাকে ঘৃন্য ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের ত্বড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ইউনিয়নের শান্তিপ্রিয় জনগণ। তাদের দাবি-ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী ভবন নির্মাণে পছন্দের ভূমি নিয়ে প্রতিহিংসার এই রাজনীতি ইউনিয়নের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না। দীর্ঘদিন পর ফেঞ্চুগঞ্জবাসী যখন ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী ভবন পাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল তখন একটি পক্ষের প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে সবকিছু ভেস্তে যেতে পারে-এমনটি আশংকা করছেন তাঁরা।
জানাগেছে, উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে স্থায়ী ভবন নেই। এলাকাবাসী ও স্থানীয় সংসদ সংসদ্য (মরহুম) মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের প্রচেষ্টায় অবশেষে ২০১১ সালে ৫ নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের জন্য গেজেট প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালে ওই ইউনিয়ন পরিষদে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ। বর্তমানে স্থানীয় মানিকগঞ্জ বাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের নিজস্ব ভূমিতে কার্যক্রম চলছে উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের।
এদিকে সরকারি গেজেট প্রকাশের পর স্থানীয় সংসদ সদস্য (মরহুম) মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েছের উদ্যোগে উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের আওতাভূক্ত এলাকাবাসী ও প্রবাসীদের সহযোগীতায় সুলতানপুরের খতিয়ান নং ৩৪৯৮, দাগ নং ৯৮০ স্থিত ৩০ শতক ভূমি ৩২ লাখ ২০বিশ হাজার টাকা দাম সাব্যস্থক্রমে নির্ধারণ করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী চেক মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা সবেজা বানুর নামে বায়েনা হিসেবে প্রদান করা হয়। বায়নাপত্র হিসেবে ৫ নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিনের নামীয় চেক নং ০০৬১৩৩০০১২৫৯২,ইসলামী ব্যাংক সিলেট ব্রাঞ্চ মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।
এর আগে ৫ নং ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের জন্য অত্র এলাকার যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য রাষ্টের প্রবাসী কমিউনিটি এর অর্থায়নে ভূমি ক্রয় করে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে রেজিস্ট্রার দলিল সম্পাদনের অনুমতি প্রার্থনা করে এলাকাবাসীর পক্ষে মুজিবুর রহমান মুজিব,পিতা তেরা মিয়া,সাং-মানিককোনা সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মহোদয়ের সুপারিশসহ একখানা আবেদন এবং প্রস্তাবিত ভূমির রেকর্ডিয় মালিক যুক্তরাজ্য প্রবাসী সবেজা বানু’র সাথে সম্পাদিত আন-রেজিস্ট্রার একটি বায়নাপত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেঞ্চুগঞ্জ বরাবর দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে ঘিলাছড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রস্তাবিত ভূমির রেকর্ডপত্র যাচাই ও সরেজমিন তদন্তপূর্বক উক্ত ভূমিতে ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করা যায় মর্মে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফেঞ্চুগঞ্জ বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। যার স্মারক নং ইভূঅ/ খিলা/২০২০/১৫৩ তারিখ : ২০/১০/২০২০। সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফেঞ্চুগঞ্জ স্মারক নং ৩১.৪৬.৯১৩৫.০০০.০১.০০১.২০.৪৩০ তারিখ : ২৭/১০/২০২০ পত্রের মাধ্যমে আবেদনকারীর প্রার্থীত ও বায়নাকৃত জমি নবগঠিত ৫ নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত এলজিইডি সড়ক সংলগ্ন ও বিদ্যুতায়নের সুযোগ সম্বলিত হওয়ায় পরিষদের স্থায়ী কার্য্যালয় স্থাপনের অনুকুলে মতামত প্রদান করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেঞ্চুগঞ্জ এর স্মারক নং ০৫.৪৬.৯১৩৫.০০০.০৬.০২৩.২০২০.৬২২ তারিখ ০৩/১১/২০২০ পত্রের প্রেক্ষিতে ও প্রবাসীদের সিদ্বান্তক্রমে প্রস্তাবিত ভূমির রেকর্ডিয় মালিক ইংল্যান্ড প্রবাসী সবেজা বানু বিগত ১১/১০/২০২১ ইংরেজি তারিখে ইউনিয়ন পরিষদের নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য দেশে আসেন। গত ১৫ই নভেম্বর ২০২১ইং ফেঞ্চুগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার অফিসে হাজির হয়ে দলিল সম্পাদনের জন্য যথারীতি খাজনা পরিশোধ ও সোনালী ব্যাংকে চালান জমা দিয়ে সাব রেজিস্ট্রারের সাথে দলিল রেজিস্ট্রির জন্য যোগাযোগ করলে সাব-রেজিস্ট্রার ফেঞ্চুগঞ্জ অজ্ঞাত কারণে দলিল রেজিষ্ট্রেশনে অনিহা প্রকাশ করেন
। পরের দিন ১৬ নভেম্বর ২০২১ইং তিনি ফের সাব রেজিস্টার কার্যালয়ে গেলে আবারো ব্যর্থ হলে তাৎক্ষনিক ভাবে তিনি নিজ ভাসুর পুত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ আনছার আলীকে ওই ভূমির পাওয়ার অব এ্যটর্নী প্রদান করে পরের দিন ১৭ নভেম্বর যুক্তরাজ্যে চলে যান। কিন্তু এ ক্ষেত্রে উল্লখ করা প্রয়োজন যে ইতিমধ্যে ভূমির মালিক সবেজা বানু এলাকাবাসীর কাছ থেকে ভূমির মূল্য পেয়ে যান এবং এলাকাবাসী ভূমির মালিককে মূল্য পরিশোধ করে দেন।
এদিকে ওই ভূমিটি পাশ কাটিয়ে পার্শ্ববর্তী একই মৌজার আরেকটি ভূমি (সুলতানপুর মৌজার) ৮৩০ নং খতিয়ান, দাগ নং ১৫০৭ এর ৩০ শতক ভূমি ক্রয়ের নিমিত্তে ৪০ লাখ টাকা দাম সাব্যস্থক্রমে রেকর্ডিয় মালিক মাহবুব আহমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ কতিপয় লোকজন। এর সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানও জড়িত রয়েছেন-এমনটিও বলেছেন ১ম দফার পছন্দকৃত ভূমি মালিকদের ঘণিষ্ট সূত্র। মাহবুব আহমদের রেকর্ডিয় ভূমি ওই সময় বিনা বাধায় সাব-রেজিস্ট্রার ইউনিয়ন পরিষদের অনুকুলে রেজিস্ট্রি করে দেন।
ইউনিয়ন অফিসের প্রস্তাবিত ১ম ধাপের ভূমি ক্রয় প্রক্রিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন জড়িত থাকলেও একই মৌজার অপর ভূমি ক্রয় প্রক্রিয়ায়ও তিনি জড়িত থাকেন-এমন অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। শুরুর দিকে প্রস্তাবিত ভূমি ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ছিলেন এমন কয়েকজন ব্যক্তি জানান, শুধুমাত্র সংসদ সদস্য মরহুম মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর উদ্যোগ প্রক্রিয়া বানচাল করতেই বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের সহযোগীতায় পরবর্তী ভূমিটি নির্ধারণ করত: দলিল সম্পাদন করা হয়েছে।
এই ঘটনার পরবর্তী এলাকাবাসীর পক্ষে ৫ নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আনছার আলী চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রবাসীদের অর্থায়নে খরিদকৃত সবেজা বানুর ৩০ শতক ভূমি রেজিস্ট্রেশনে ব্যবস্থা গ্রহণে লিখিত আবেদন জানান। পরবর্তীতে প্রথম পক্ষের ভূমির মালিকসহ এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারক মামুন রহমান ও খোন্দকার দেলোয়ারুজ্জামান প্রস্তাবিত ১ম দফার ভূমিতে কেন ভবন করা হবে না –মর্মে একটি রুল নিশি জারি করেন। চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত রুলে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে মহাপরিদর্শক নিবন্ধন, জেলা প্রশাসক,জেলা রেজিস্ট্রার,ইউএনও ও উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার বরাবরে নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে, হাইকোর্টের দেওয়া রুলনিশির পর ২ মার্চ হঠাৎ করে মাহবুব আহমদের রেকর্ডিয় ভূমি রেজিস্ট্রার করে দেন সাব রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন। একই সাব রেজিস্ট্রার ১ম দফায় প্রস্তাবিত সবেজাবানুর মালিকানাধীন ভূমিটিও রেজিস্ট্রি করে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৫ নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন বলেন, ‘১ম দফায় পছন্দকৃত ভূমি প্রক্রিয়ার সাথে আমি জড়িত ছিলাম না,এমনকি আমার পরিষদও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয়। তাহলে অপর পক্ষের প্রস্তাবিত ২য় দফায় পছন্দের ভূমি প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হলেন কিভাবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় এমপি মহোদয় ফোন দিয়ে বলেছেন পরিষদে রেজুলেজন করে ভূমি রেজিস্ট্রার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার জন্য।
এ বিষয়ে মরহুম সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর ভাই আহমদ উস সামাদ চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, (১৫ মার্চ) ‘আমি এখন এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে। চলে যাচ্ছি যুক্তরাজ্যে। এলাকায় এ বিষয়ে অনেক কথা শুনেছি। যেহেতু আমার ভাই জনগণের কল্যাণে,ইউনিয়নবাসীর কল্যাণে কাজ করেছেন, সুতরাং ভাইকে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হলে সেগুলো জনগণই দেখবে। তাছাড়া গণমাধ্যম কর্মীরাও সত্যের পাশে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করতে চাই। আমি এলাকার বিষয় নিয়ে কিছু বলতে চাই না। ’
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাখী আহমদ বলেন, সবেজা বানু রেকর্ডিয় প্রস্তাবিত ইউনিয়ন পরিষদের ভূমির পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং সবেজা বানুর মালিকানাধীন রেকর্ডিয় ভূমি প্রথমে রেজিস্ট্রারী না হওয়া এবং পরবর্তীতে রেজিস্ট্রারী হওয়ার বিষয়টি জেনেছি, তবে পরবর্তীতে একই ইউনিয়ন অফিসের নামে আরও একটি ভূমি রেজিস্ট্রারির বিষয়টি আমি জানি না। একটি পরিষদের জন্য নিশ্চয়ই দুটি ভূমিকে বেছে নেওয়া হবে না।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, গেল ২ মার্চ ৫ নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের জন্য দুটি দলিল তিনি রেজেস্ট্রারী করেন। পর পর দুটি ভূমির দলিল রেজিস্ট্রারী করতে তিনি একটি পক্ষের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করেন। ভূমির একটি পক্ষের ঘুষদাতার নাম মো. মুজিবুর রহমান। উক্ত ঘুষের টাকা প্রদানকারী মুজিবুর রহমান গত ১৩ মার্চ তদন্তকালীন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির আই,আর নিবন্ধন অধিদপ্তর বরাবরে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবকে ফোন দিলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে এ বিষয়ে কথা বলার অনুরোধ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার জাকির হোসেনের ব্যক্তিগত সেলফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেন নি। পরবর্তীতে মোবাইল বার্তায় প্রতিবেদকের পরিচয় দিয়ে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করা হলেও সাব-রেজিষ্ট্রারের সাড়া পাওয়া যায়নি।
উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের নিকট ৫ নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে, তিনি মিটিংয়ে আছেন এবং পরে কল বেক করবেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে আবারও ফোন দেওয়া হলে তিনি আর কল রিসিভ করেন নি।