শাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ করার আগ পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন শাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১১টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন।
অবশ্য সংবাদ সম্মেলন শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ থাকা প্রধান ফটক উন্মুক্ত করে দিয়েছেন তারা। আন্দোলনের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা বালুর বস্তা ও রড দিয়ে প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন, তাতে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও মানুষজনের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ তার সমাপ্তি ঘটল। সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, রোমিও নিকোলাস রোজারিও, মোহাইমিনুল বাশার রাজ। তারা বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৫ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী টানা ১৬৩ ঘণ্টা ১৭ মিনিট অনশনরত থাকার পর ড. জাফর ইকবাল ‘স্যার’র এবং ইয়াসমিন হক ‘ম্যাম’র অনুরোধে অনশন থেকে সরে আসে তারা। আমরণ অনশন কর্মসূচি থেকে সরে আসার মূল কারণ ছিল আমাদের এক দফা দাবি মেনে নেয়া হবে এ আশ্বাস। তবে আপাতত অনশন থেকে সরে আসা হলেও উপাচার্যের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তারা বলেন, ড. জাফর ইকবালকে দেয়া ৫ টি দাবির মধ্যে ৩ নম্বর দাবি ছিলআ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থদানের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ৫ জন সাবেক শাবি শিক্ষার্থীর জামিন দেয়া। অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলাটি প্রত্যাহার করা। অনশনকারী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ মিটিয়ে দেয়া। ১৬ জানুয়ারি ভিসির মদদে সংঘটিত নারকীয় পুলিশি হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়া। এ আশ্বাসগুলো পূরণ হলেও আমাদের মূল দাবি ভিসি প্রত্যাহার। যা পূরণ হয়নি। একই সাথে ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণের দায়িত্ব ড. জাফর ইকবাল এবং ইয়াসমিন নিয়েছেন। একই সাথে ক্যাম্পাসের সমস্ত আবাসিক হল যা বর্তমানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে সচল রেখেছে সেগুলোও পুরোদমে চালুর আশ্বাস দেয়া হয়েছে। বরাবরের মত ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের দখলে থাকবে এবং উপাচার্যের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বিএ/২৭ জানুয়ারি