দক্ষিণ সুরমা:: বর্তমান সময়ের সমালোচিত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত ইসলামী বক্তা মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর দক্ষিণ সুরমার মাহফিলকে কেন্দ্র করে গোটা উপজেলায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ফলে অত্র এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, সিআইডি সহ প্রশাসনের সবধরনের বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী ইউনিয়নের লালারগাও গ্রামের জনৈক হযরত শেখ যাদু মোল্লা (রঃ) এর ১০ বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল আজ ১২ ফেব্রুয়ারী বুধবার মাজার সংলগ্ন এলাকায় আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাওলানা ফখর উদ্দিন চৌধুরী ছাহেবজাদায়ে ফুলতলী, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাওলানা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী। মাহফিল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লালারগাও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সবধরণের প্রস্তুতি মোকাবেলায়া গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ থাকলেও স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে অজানা আতংক বিরাজ করছে। মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক জেলার বিভিন্ন স্থানে পোষ্টার ব্যানার লিফলেট বিতরণ ছাড়াও বেশ মাইকিং করা হয়েছে। ফলে ঢেলে দেই নামে খ্যাত, সমালোচিত বক্তা আত তাহেরীর মাহফিলের বিষয়টি শুধু দক্ষিণ সুরমা নয়, গোটা সিলেট জুড়ে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে মাজার বক্তদের মধ্যে এক উৎসবের সৃষ্টি করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লালারগাও গ্রামের জনৈক ব্যক্তি বলেন, দেশজুড়ে সমালোচিত তাহেরীর আজকের এ মাহফিলকে ঘিরে শুধু গ্রাম নয়, গোটা এলাকায় প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। মাহফিলের এ বক্তাকে নিয়ে মানুষজন যোগাযোগ করে অনেক কিছু ব্যক্ত করছে। তবে শেষমেশ মাহফিলটি সফলভাবে সম্পন্ন হতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
তেতলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফারুক মিয়া বলেন, গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মাহফিল আয়োজনের খবর পেয়েছি। এ মাহফিল বাস্তবায়নে এলাকার মানুষের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। সকলের সাথে তিনিও মাহফিলে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল ফজল বলেন, মাহফিলের বিষয়টি আমরা অবগত রয়েছি। মাহফিল সফলের লক্ষ্যে এলাকাবাসীর সাথে প্রশাসনও আন্তরিক।