বড়লেখায় পরিবহণ শ্রমিকদের বাঁধার মূখে হাসপাতাল পৌঁছতে না পারায় বিনা চিকিৎসায় নিউমুনিয়া আক্রান্ত ১১ মাসের আরেক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিলম্বে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিশুটি নিজ বাড়িতে মারা যায়। নিহত শিশুর নাম সুকরিয়া বেগম। সে উপজেলার সীমান্তবর্তী উত্তর শাহবাজপুর ইউপির ভট্টশ্রী গ্রামের হামিদা বেগম ও মৃত ছালিক আহমদের মেয়ে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ খান।
জানা গেছে, শিশু কন্যা সুকরিয়া বেগম অসুস্থ হলে মা হামিদা বেগম রোববার বেলা দুইটায় শাহবাজপুর বাজারে পল্লী চিকিৎসক মেঘনাথ রুদ্র পালের নিকট নিয়ে যান। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিউমুনিয়া আক্রান্ত জানিয়ে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। শাহবাজপুর বাজার থেকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুরত্ব ১৫-১৬ কিলোমিটার। তিনি মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে চাইলে পরিবহণ শ্রমিকরা কোন যানবাহন দেয়নি। রিক্সায় যেতে চাইলেও তারা রিকশার পাংচার করে দেয়। প্রায় দুইঘন্টা অপেক্ষা করেও হাসপাতালে যেতে ব্যর্থ হওয়ায় মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শিশুরোগী সুকরিয়া নিজ বাড়িতে মারা যায়।
নিহত শিশুর মা হামিদা বেগম অভিযোগ করেন, বাড়ি থেকে বেরিয়ে যানবাহন না পেয়ে অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে দুই কিলোমিটার পায়ে হেটে শাহবাজপুর বাজারে যান। স্থানীয় চিকিৎসক দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু পরিবহণ শ্রমিকরা সিএনজি চালিত অটোরিকশা কিংবা রিকশা চলতে না দেয়ায় মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। সন্ধ্যায় মেয়েটি মারা যায়।
উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনাটি খুবই অমানবিক, নির্মম ও লজ্জাজনক। সোমবার নিহত শিশুর বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সান্তনা দিয়েছেন।