মস্তফা উদ্দিন: মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বড়লেখা জোনাল অফিসের অধীনস্থ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বিভিন্ন স্থানে ভুতুড়ে বিলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। প্রায় প্রতিদিনই বড়লেখা জোনাল অফিসে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা। এতে করে একদিকে কর্মকর্তারা যেমন বিপাকে পড়েছেন তেমনি গ্রাহকদের মাঝেও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিভিন্ন স্থানের গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিস থেকে প্রেরিত ভুতুড়ে বিল নিয়ে ভোগান্তি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তেরও অভিযোগ করেন।
গ্রাহকরা বলেন, এ অবস্থায় বাড়তি টাকা খরচ করে অফিসে গিয়ে বিল সংশোধন করে আনতে হয়েছে। তাছাড়া অনেক স্থানে নিয়মিত মিটার রিডিং না দেখেই বিল তোলে দেওয়া হয়। ফলে কোনো মাসে বিদ্যুৎ বিল খুব কম আবার কোনো মাসে খুব বেশি।
ব্যবহৃত ইউনিটের কলামে জুলাই মাসের চেয়ে আগষ্ট- সেপ্টেম্বর মাসের বিদ্যূৎ বিলে দিগুণ ইউনিট দেখিয়ে বিলের কপি দেয়া হচ্ছে বলেও অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেন।
পরিশোধিত বিল পরবর্তী মাসে বিলের সাথে সংযোজিত করে দেয়া হচ্ছে, অনেকেই পরিশোধিত বিল দু বার দিচ্ছেন।
ভোক্তভোগী গ্রাহকদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়,-হঠাৎ করে বিল বেড়ে যাওয়া ও অতিরিক্ত বিল আসা নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসের সাথে তারা যোগাযোগ করলে অফিস কর্মচারীরা বিল ঠিক আছে বলে, কাল আসেন দেখব, ইত্যাদি কথা বলে তাদেরকে হয়রানী করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জুড়ি উপজেলার গোয়ালবাড়ী থেকে গ্রাহক জ্যোতিন্দ্র মালাকার আসেন বড়লেখা পল্লী বিদ্যুত অফিসে প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন- আমার বিগত মাসগুলোতে ১৫০ ইউনিট করে বিল আসত আগস্ট- সেপ্টেম্বর থেকে পর পর ৩০০ ইউনিট করে বিল আসতে শুরু করে। তিনি পল্লী বিদ্যুত অফিসের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন বিল সঠিক আছে।
অনুরপ চান্দগ্রামের মিছবাহ উদ্দিন, মহারানী র’ দাসের বাজারের ইমাম উদ্দিন জানান, হঠাৎ করে দ্বিগুন,থেকে আড়াইগুন বেশী তাদের ও বিল আসছে। এত বেশী বিল আসা তারা মেনে নিতে পারছেন না। ইমাম উদ্দিনের জুলাই মাসে ৭৫ ইউনিট বিল এসেছে ৩৫২ টাকা, কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে ২৫০ ইউনিট ১২৬৬ টাকা বিল আসে। এতো বেশী তফাৎ হবে কেন এমনটি প্রশ্ন তার।
মিছবাহ উদ্দিনের (জুলাই ২০১৮ ) মাসে ২৩০ ইউনিটে ১১৫২ টাকা কিন্তু (আগস্ট ২০১৮) ৫৪০ ইউনিটে ৩৪৫৫ টাকা বিল এসেছে। এছাড়া রিবেট নীট বিল উল্লেখ করে আরো ৫০০/৭০০ টাকা যোগ করে দেয়া হয়েছে বিলের সাথে। তারা অফিসের সাথে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ বিল সঠিক বলছেন।
অনেক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন কোন মাসে বিল কম দেখিয়ে মিটারে ইউনিট জমারেখে অতিরিক্ত দামে বিভিন্ন
কায়দায় দূর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিদ্যুত অফিস,এর হিসাব দেখবে কে?
এ ব্যাপারে বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম সুজিত কুমার বিশ্বাস র’ সাথে আলাপ কালে তিনি বিল বিড়ম্বনার ত্রুটির সত্যতা স্বীকার করে নানা অসুবিধার কথা তুলে ধরে সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।