বড়লেখা থেকে মস্তফা উদ্দিন :উপজেলার দাসের বাজার ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামে সাপের দংশনে মারা যাওয়া এক কলেজ ছাত্রীকে ঝাড়ফুঁক দিয়ে জীবিত করার চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, ঝাড়ফুঁক দিয়ে জীবিত করার আশায় সৎ কাজ্য করতে দেওয়া হয়নি,সিবানী রানী দাস (২৪) কে।
সে গ্রামের মন্জু দাস (মনর) মেয়ে ও সিলেট এম সি কলেজের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী ও ফকির বাজার মুদরিছ আলী একাডেমির শিক্ষিকা।
এ নিয়ে উৎসুক জনতার ভিড় করছেন সাপের দংশনে মারা যাওয়া সিবানী রানী দাসের বাড়িতে।
পারিবারিক সৃত্রে জানায়ায় ৫ (আগষ্ট) রবিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে সিবানী রানী দাস তার বসত ঘরের পিছনে বাথরুমে যাবার জন্য দরজা খুলতে গেলে বাম পায়ের বৃদ্ধা আংগুুলির উপরে বিষাক্ত সাপ দংশন করে। রাত্রে ই পরিবারে সদস্যরা বিয়ানিবাজার সরকারী হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন হঠাৎ অবচেতন হয়ে পড়েন। কর্তব্যরত ডাক্তার পরিক্ষা নিরিক্ষা করে মৃত্যু ঘোষনা করেন।
সোমবার দুপুরবেলা তাঁর লাশ বাড়িতে আনা হলে, অনেকেই বলেন সাপের দংশনে তিন দিন পর্যন্ত বেচে থাকেন।
সিবানী মারা যাননি, সে এখন বেঁচে আছে, এমন দাবি করে এলাকার অনেকে।
সিবানীর পরিবার ও আত্তীয় স্বজন কে বলেন তাঁকে ওঝাঁ দিয়ে ঝাড়ফুঁক করালে সুস্হ ও জিবিত হয়ে যাবে। এমন আসা নিয়ে, বালাগন্জ উপজেলার উচতার আলী ওঝাঁ দিয়ে ঝাড়ফুঁক করাচ্ছেন।
সরজমিনে দেখা যায় মৃত সিবানী রানী দাস কে ঘরের বারান্দায় মশারির ভিতরে শুয়ে রেখে ওঝাঁ তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে ‘ফুঁ’ ও পানি ছিটিয়ে জীবিত করা চেষ্টা চালাচ্ছেন।
স্হানীয় ইউপি সদস্য বাহার উদ্দিন সিলেট৭১নিউজের প্রতিনিধিকে বলেন, ডাক্তার রোগীকে মৃত ঘোষণা করার পর আর জীবিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। স্রেফ কুসংস্কারের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
নিউজ লেখা পর্যন্ত তন্ত্রমন্ত দিয়ে জীবিত করার চেষ্টা চলছে,,,,,,