ঢাকা প্রতিনিধি।।
গত ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল হাল্ট প্রাইজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর চূড়ান্ত পর্ব। বাছাই পর্ব ও সেমি-ফাইনাল পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে ৫৪ টি দলের মধ্য থেকে ৮ টি দল অংশ নেয় এতে। চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম এসএমুসা এবং ১ম ও ২য় রানার্সআপ হয়েছে যথাক্রমে টিমচেম্ফিস ও ইকারাস।.
বিকাল ৩:০০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্রেডার ডিরেক্টর অতিরিক্ত সচিব মোঃ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইন্সটিটিউট পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল হক, ঢাকা ট্রিবিউন এর কৌশল ও পরিকল্পনা সম্পাদক আসিফ ইসলামসহ অন্যান্য।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের আলোচনায় উঠে আসে বর্তমান সময়ে বিকল্প ও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার এখন কতটা উপযোগী হয়েছে এবং সেই সাথে শক্তি সঞ্চয় করবে এমন সব পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে যুবকদের উদ্বুদ্ধ করতে এবারের হাল্ট প্রাইজ এর থিমকে যুগোপযোগী বলেছেন অতিথিরা। ক্যাম্পাস ডিরেক্টর সাইফুল্লাহ মাহিফুজ বলেন, তরুণদের মাঝে এই ধরণের অনুষ্ঠান নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে সাহায্য করে। হাল্ট প্রাইজ-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রতিনিধিত্বকারী দলটি বিজয়ী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হাল্ট প্রাইজ আজকের যুবকদের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত সামাজিক ব্যবসা প্রতিযোগিতা যার অর্থায়ন করে জাতিসংঘ এবং ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ । এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সারা বিশ্বের ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী তাদের উন্নত বিশ্বের ধারণা নিয়ে আসে। প্রতি বছর এখানে ছয়টি মাত্রা নিয়ে একটি থিম প্রদান করা হয়, যার দ্বারা শিক্ষার্থীদের ধারণা তৈরি করতে হয় , উদাহরণস্বরূপ, এই বছরের থিমটি নবায়নযোগ্য শক্তি কেন্দ্রিক।
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ছাত্রছাত্রীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩-৪ জন নিয়ে দল তৈরি করে। এই দলগুলি প্রাথমিকভাবে তাদের ধারণাগুলি জমা দেয়, যে তারা কীভাবে একটি ব্যবসায়িক ধারণায় অবদান রাখতে পারে, যা নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।
সেরা নির্বাচিত দলটি তাদের ধারণা নিয়ে সাংহাই/কুয়ালালামপুর/সিঙ্গাপুর-এ আঞ্চলিক ফাইনাল জন্য যাবে। বাজারে তাদের ধারণা বাস্তবায়নের জন্য পুরো বিশ্বের মাঝে বিজয়ী দল ১ মিলিয়ন ডলার পাবে। পুরস্কারটি আজকের তরুণদের ইতিবাচক পরিবর্তনকে অনুপ্রাণিত করে এবং এর ফলে একটি উন্নততর বিশ্বের হাতছানি ধরা দেয়।