সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: বিশ্বনাথ সরকারি কলেজে নিজ দলের নেতাকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদকসহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়।
রোববার (৩০মে) সিলেটের আদালতে এ মামলা (নং-সিআর-২৫৫/’২২) দায়ের করেছে বিশ্বনাথ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা উপজেলার জানাইয়া গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে রিপন আহমদ (২১)।
মামলায় আসামিরা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানাইয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে মোবারক হোসেন (৩০), একই গ্রামের আলাল মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সোয়েব আহমদ (২৪), মুফতির গাঁও গ্রামের শামীম চিশতীর ছেলে তুহিন(২৪), শিমুলতলা গ্রামের সোহাগ আহমদ(২১), আনরপুর গ্রামের আব্দুল মনাফের ছেলে ফারহান আহমদ (২২), মিরেরচর গ্রামের সাদিকুর রহমান, জানাইয়া গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে কামরান আহমদ (২১)।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, ২৪ মে বিশ্বনাথে উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক গ্রুপের হামলায় সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হন। আহতরা হলেন-কলেজ ছাত্রলীগের রিপন আহমদ, ইব্রাহিম আলী, রাজু মিয়া, জাহেদ আহমদ ও আসলাম আলী।তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় রিপন আহমদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্য চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তবে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি এখনও থানায় আসেনি।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে ছাত্রদল থেকে আসার অভিযোগ ওঠেছে। জেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তণ কমিটি তাকে সাধারণ সম্পাদক পদে পদায়ন করেছে। যেহেতু মামলার বাদি ও অভিযুক্তরা উভয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তাই তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, স্থানীয় সূত্র জানায়, বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগ ৩গ্রুপে বিভক্ত। এরমধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পার্থ সারথি পাপ্পু ও মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে দু’টি এবং যুগ্ম সম্পাদক শাহ বুরহান উদ্দিন রুবেলের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরআগেও দু’টি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মারামারি হয়। এর পূণরাবৃত্তি ঘটলো আবার।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান