October 18, 2025, 6:30 am

সংবাদ শিরোনাম :
ইম্পেরিয়াল মেডিকেল হাসপাতালের উদ্যোগে ৯ দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প সম্পন্ন ব্যবসায়ী আলী হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টায় রিয়াজ মেম্বারের ভাই গ্রেফতার বড়লেখার রাজনীতিতে পরীক্ষিত নেতৃত্ব প্রভাষক ফখরুল ইসলাম বাংলাদেশীদের জন্য দুবাইয়ের গোল্ডেন ভিসা উত্তরা বিমান দুর্ঘটনা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫০ : প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব আগস্টে নতুন জুলাই সংবিধান আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক এনসিপির রহমানিয়া টুকা হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সিলেটে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, চলতি বছরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: শিশুর লাশে ভরে গেল ক্যাম্পাস, ২৫ জন আশঙ্কাজনক সিলেট মহানগরীর ১৪নং ওয়ার্ডে তালামীয ইসলামিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সাংবাদিকের উপরে মিথ্যা মামলা কোম্পানীগঞ্জে ফ্যাসিস্টের দোসরদের পুণর্বাসন নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে বিএনপি নেতার উপর হামলা মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিচার শুরু কুলাউড়ায় বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশির লাশ তুলে নিল ভারত মাহি-শাবাব হত্যার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি যুক্তরাজ্যে ছবি ভাইরাল: নবীগঞ্জে ওয়ালিদের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ কুলাউড়া সীমান্তে আবারও পুশইন, ১৪ জন আটক ওসমানী হাসপাতালে সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ সিলেট সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৬ জনকে আটক হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সাবেক এমপি ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে ছাত্রশিবিরের কোরআন কুইজে হিন্দু শিক্ষার্থীর বিজয় সারা দেশে গণজমায়েতের ডাক এনসিপির প্রতিটি রক্তবিন্দুর প্রতিশোধ নেয়া হবে: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারের আপিল শুনানি শেষ, রায় ২৭ মে এম.সি কলেজ তালামীযের কাউন্সিল সম্পন্ন সিলেটে এবার বিষ্ফোরক আইনে ২৮৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মিজানকে জড়িয়ে অপপ্রচারের নিন্দা ও হুমকিদাতাকে গ্রেফতারের দাবি সিলেটে সাবেক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা: ষড়যন্ত্রমূলক দাবি পরিবারের সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে বাংলাদেশী নিহত দিরাইয়ে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৬
মুসলিমদের জন্য মেরাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

মুসলিমদের জন্য মেরাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

ইসলামে মেরাজ
ইসলামে মেরাজ

Please Share This Post in Your Social Media

Manual4 Ad Code

সিলেট৭১নিউজ ধর্ম ডেস্ক:: ইসলামে মেরাজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন ‘তিনি পরম পবিত্র ও মহিমায়, যিনি রাত্রিযোগে আপন বান্দাকে মসজিদুল হারাম (সম্মানিত মসজিদ) থেকে মসজিদুল আকসা (দূরবর্তী মসজিদ) পর্যন্ত নিয়ে গেলেন, যার চারদিকে আমি বরকতমণ্ডিত করেছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাই, নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ১)।

Manual4 Ad Code

এ আয়াতে বিশ্বনবির (সা.) রাত্রিকালীন সফর সম্পর্কে ব্যক্ত হয়েছে, যা অধিকাংশ তাফসিরকারকের মতে মেরাজ বলে পরিচিত। মেরাজের যে ঘটনা তা নবুওয়্যতের পঞ্চম বা ষষ্ঠ বছরে হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জীবনে ঘটেছিল। এ সময় মহানবির যে মেরাজ সংঘটিত হয়, তাতে তিনি বহু ঊর্ধ্বলোকে উপনীত হয়ে আল্লাহর জ্যোতিগুলোর বিকাশ প্রত্যক্ষ করেন। অপরদিকে মহান আল্লাহর জ্যোতিমালাও তার প্রিয় রাসূল (সা.)-এর দিকে অবতরণ করে। এভাবেই একদিকে আল্লাহর রাসূল (সা.) আল্লাহর দিকে অগ্রসর হন, অপরদিকে আল্লাহও অগ্রসর হন তার প্রিয় রাসূলের (সা.) দিকে। মানুষের পক্ষে যতটা আধ্যাত্মিক-উন্নতি অর্জন করা সম্ভব, তার সবটাই ঘটেছিল রাসূল (সা.)-এর মাঝে।

মহান আল্লাহর শক্তি ও মহিমার জ্যোতি যতটা মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব, তার সবটাই দেখেছিলেন আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় এ রাসূল (সা.)। এ মহামানবকে (সা.) যত বেশি করে আঁকড়ে ধরা যাবে, যত বেশি গভীরে যাওয়া যাবে তার শিক্ষার, তত বেশি করে মুক্তির স্বাদ পাওয়া যাবে, পাপ থেকে ততই বেশি মুক্তি পাওয়া যাবে। পবিত্র কুরআনের সূরা নযমে উল্লিখিত মেরাজের ঘটনার বর্ণনা সম্পর্কে যতই আমরা জ্ঞান অর্জন করব, ততই বোঝা সম্ভব হবে মেরাজের মাহাত্ম্য।

Manual5 Ad Code

মেরাজের বর্ণনা সম্পর্কে মহানবি (সা.) নিজে বলেছেন, ‘একদা আমি কাবার ‘হাতিম’ অংশে সটান হয়ে শুয়েছিলাম। হঠাৎ একজন আগন্তুক আমার কাছে এলেন। তিনি আমার (বুক) এ স্থান থেকে এ স্থান পর্যন্ত বিদীর্ণ করলেন। এ ঘটনার বর্ণনা প্রসঙ্গে হজরত আনাস (রা.) বলেন, তিনি তার পাশে বসা (জনৈক সাহাবি) জারুদকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এ স্থান থেকে এ স্থান পর্যন্ত’ এর অর্থ কী? তিনি (তার ব্যাখ্যা দিয়ে) বলেন, হলকুমের নিচ থেকে নাভি পর্যন্ত। অতঃপর তিনি (আগন্তুক) আমার হৃৎপিণ্ডটি বের করলেন। তারপর ইমানে পরিপূর্ণ একটা থালা আমার কাছে আনা হলো, অতঃপর আমার হৃৎপিণ্ডটাকে ধৌত করা হলো। তারপর তাকে ইমানে পরিপূর্ণ করে আবার আগের জায়গায় রাখা হলো। অতঃপর আকারে খচ্চরের চেয়ে ছোট ও গাধার চেয়ে বড় একটি শুভ্র জানোয়ার (বাহন) আমার সামনে হাজির করা হলো। তখন হজরত জারুদ (রা.) হজরত আনাস (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আবু হামযা! (আনাসের ডাক নাম) ওটাই কি বোরাক ছিল? হজরত আনাস (রা.) বললেন, হ্যাঁ, তার দৃষ্টি যতদূর যেত, সেখানে সে পা রাখত। অর্থাৎ তার পথ অতিক্রমের গতিবেগ ছিল দৃষ্টিশক্তির গতিবেগের সমান। নবি (সা.) বললেন, অতঃপর আমাকে তার ওপর আরোহণ করানো হলো।

Manual6 Ad Code

তারপর জিবরাঈল আমাকে সঙ্গে নিয়ে (ঊর্ধ্বলোকে) যাত্রা করলেন এবং নিকটতম আসমানে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, এ কে? জিবরাঈল বললেন, আমি জিবরাঈল। আবার জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে আর কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ (সা.)। পুনরায় জিজ্ঞেস করা হলো, তাকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন বলা হলো, তার প্রতি সাদর সম্ভাষণ। তার আগমন কতই না উত্তম। এরপর দরজা খুলে দেওয়া হলো। যখন আমি ভেতরে পৌঁছলাম, তখন সেখানে দেখতে পেলাম আদম (আ.)কে। বলা হলো, তাকে সালাম করুন। আমি তাকে সালাম করলাম। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, নেককার পুত্র ও নেককার নবির প্রতি সাদর সম্ভাষণ।

অতঃপর জিবরাঈল (আ.) আমাকে নিয়ে আরও ঊর্ধ্বে আরোহণ করতে লাগলেন এবং দ্বিতীয় আসমানে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন।… তারপর জিবরাঈল আমাকে নিয়ে তৃতীয় আসমানে উঠলেন এবং দরজা খুলে দিতে বললেন।…তারপর জিবরাঈল আমাকে নিয়ে আরও ঊর্ধ্বলোকে যাত্রা করলেন এবং চতুর্থ আসমানে এসে দরজা খুলতে বললেন।…তারপর জিবরাঈল আমাকে নিয়ে আরও ঊর্ধ্বলোকে যাত্রা করলেন এবং পঞ্চম আসমানে এসে দরজা খুলতে বললেন।…তারপর জিবরাঈল আমাকে সঙ্গে নিয়ে আরও ঊর্ধ্বলোকে উঠতে শুরু করলেন এবং ষষ্ঠ আসমানে এসে দরজা খুলতে বললেন।…তারপর দরজা খুলে দিলে আমি যখন ভেতরে প্রবেশ করলাম, তখন সেখানে মূসাকে (আ.) দেখতে পেলাম। জিবরাঈল (আ.) বললেন, ইনি হলেন মূসা (আ.), তাকে সালাম করুন। আমি তাকে সালাম করলাম। আমি তাকে সালাম করলে তিনি তার জবাব দিলেন এবং বললেন, নেককার ভাই ও নেককার নবির প্রতি সাদর সম্ভাষণ। অতঃপর আমি যখন তাকে অতিক্রম করে অগ্রসর হলাম তখন তিনি কাঁদতে লাগলেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি এ জন্য কাঁদছি যে, আমার পরে এমন একজন যুবককে (নবি বানিয়ে) পাঠানো হলো, যার উম্মত আমার উম্মতের চেয়ে অধিক সংখ্যায় জান্নাতে প্রবেশ করবে।

তারপর জিবরাঈল (আ.) আমাকে নিয়ে সপ্তম আসমানে আরোহণ করলেন। অতঃপর জিবরাঈল দরজা খুলতে বললে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে আর কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ (সা.)।…তারপর আমি যখন ভেতরে প্রবেশ করলাম, তখন সেখানে ইবরাহিম (আ.)কে দেখতে পেলাম। তিনি বললেন, ইনি আপনার পিতা ইবরাহিম (আ.), তাকে সালাম করুন। আমি তাকে সালাম করলে তিনি তার উত্তর দিলেন এবং বললেন, নেককার পুত্র ও নেককার নবির প্রতি সাদর সম্ভাষণ।

তারপর আমাকে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত ওঠানো হলো।

জিবরাঈল বললেন, এটাই সিদরাতুল-মুনতাহা। আমি আরও দেখতে পেলাম চারটি নহর। দুটি নহর অপ্রকাশ্য আর দুটি প্রকাশ্য। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরাঈল! এ নহরের তাৎপর্য কী? তিনি বললেন, অপ্রকাশ্য নহর দুটি হলো জান্নাতে প্রবাহিত দুটি ঝর্ণাধারা, আর প্রকাশ্য দুটি হলো মিসরের নীল নদ ও বাগদাদের ফুরাত (ইউফ্রেটিস) নদী। তারপর আল বায়তুল মামুর ঘরটি আমার সামনে পেশ করা হলো। অতঃপর আমার সামনে হাজির করা হলো এক পাত্র মদ, এক পাত্র দুধ ও এক পাত্র মধু। এর মধ্য থেকে আমি দুধ গ্রহণ করলাম এবং তা পান করলাম। তখন জিবরাঈল (আ.) বললেন, আপনি এবং আপনার উম্মত যে ইসলামরূপী স্বভাবজাত ধর্মের অনুসারী, এটা তারই নিদর্শন।

তারপর আমার ওপর দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হলো এবং আমি ফিরে চললাম। হজরত মুসা (আ.)-এর সম্মুখে দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি আমাকে বললেন, কী করতে আদেশ করা হয়েছে? আমি বললাম, দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ করা হয়েছে। তিনি বললেন, আপনার উম্মত দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ সম্পাদনে সক্ষম হবে না। আপনি আপনার রবের কাছে ফিরে যান এবং আপনার উম্মতের পক্ষে নামাজ আরও হ্রাস করার জন্য আবেদন করুন। তখন আমি ফিরে গেলাম এবং ওইভাবে প্রার্থনা জানালে আল্লাহ আমার ওপর থেকে দশ ওয়াক্ত নামাজ কমিয়ে দিলেন।…আমি আবার ফিরে গেলে আমাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ করা হলো। আমি মূসার কাছে আবার ফিরে এলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনাকে সর্বশেষ কী করতে আদেশ করা হলো? আমি বললাম, আমাকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ করা হয়েছে। আপনার উম্মত প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সমাপণে সক্ষম হবে না। আপনার

আগে আমি (ইসরাইল) লোকদেরকে বিশেষভাবে পরীক্ষা করে দেখেছি এবং তাদের হেদায়াতের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা ও কষ্ট স্বীকার করেছি। তাই আমি বলছি, আপনি আপনার রবের কাছে ফিরে যান এবং আপনার উম্মতের জন্য নামাজ হ্রাস করার প্রার্থনা জানান। নবি (সা.) বললেন, আমি আমার রবের কাছে এত অধিকবার প্রার্থনা জানিয়েছি, আবার প্রার্থনা জানাতে আমি লজ্জাবোধ করছি। বরং আমি এতটুকুতেই সন্তুষ্ট ও আনুগত্য প্রকাশ করছি। নবি (সা.) বলেন, আমি যখন মূসাকে অতিক্রম করে সামনে অগ্রসর হলাম, তখন জনৈক আহ্বানকারী আমাকে আহ্বান জানিয়ে বললেন, আমার অবশ্য-পালনীয় আদেশটি আমি জারি করে দিলাম এবং আমার বান্দাদের জন্য আদেশটি লঘু করে দিলাম।’ (সহিহ বোখারি, কিতাবুল মানকিব, ৩য় খণ্ড)।

Manual3 Ad Code

আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে মেরাজের প্রকৃত শিক্ষার ওপর আমল করার এবং এর তাৎপর্য বুঝার তাওফিক দান করুন, আমিন।

মাহমুদ আহমদ
লেখক : ইসলামি গবেষক ও কলামিস্ট
সংগ্রহ:যুগান্তর





Calendar

October 2025
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031



  1. © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2017 sylhet71news.com
Design BY Sylhet Hosting
sylhet71newsbd
Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code