এসবিএন নিউজ: “উষার দুয়ারে হানি আঘাত/আমরা আনিব রাঙা প্রভাত” এই স্লোগানকে ধারণ করে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিশু-কিশোর সংগঠন “সুরমা খেলাঘর আসর” এর সম্মেলন ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্পন্ন হয়।
শুক্রবার সকাল ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির ভাইস চ্যান্সেলর সুশান্ত কুমার দাস।
উদ্বোধনের পর ৩টি গ্রুপের চিত্রাঙ্কন ও সংগীত প্রতিযোগীতায় দু’শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। দু’পর্বের অনুষ্ঠানে বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান, নতুন কমিটির পরিচিতি ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।
সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে কনোজ চক্রবর্তী বুলবুলকে সভাপতি এবং ধ্রুব গৌতমকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত নতুন কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান খেলাঘর সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরূপ শ্যাম বাপ্পি।
সুরমা খেলাঘর আসরের সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের চেয়ারপার্সন রবীন্দ্র ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিশিষ্ট ছড়াকার তাজুল ইসলাম বাঙালি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উদীচী শিল্পী গোষ্ঠি সিলেট জেলা সংসদের সভাপতি কবি এ কে শেরাম।
খেলাঘর সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা পুরঞ্জয় চক্রবর্তী বাবলা, সাধারণ সম্পাদক অরূপ শ্যাম বাপ্পি এবং মনোজগত শিক্ষক কৃষ্ণকান্ত তালুকদার।
মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রবীণ খেলাঘর কর্মী ড. সেলু বাছিত।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- সিপিবি সিলেট জেলা’র সাবেক সভাপতি বাদল কর, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এড. আনোয়ার হোসেন সুমন, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সিকান্দর আলী, অধ্যক্ষ প্রসান্ত কুমার সাহা, ডা. সুধাময় মজুমদার, সাংবাদিক আল আজাদ, কবি পুলিন রায়, সৃষ্টি খেলাঘর আসরের সভাপতি বিদ্যুৎ দাস বাপন, আনন্দ খেলাঘর আসরের সভাপতি সিরাজ উদ্দিন শিরুল, ছায়ানীড় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক রাজীব চক্রবর্তী এবং পুষ্প হাসি খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক অভিনন্দন ধর চৌধুরী।
আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন, শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। শিশুরাই গড়তে পারে মুক্ত মানুষের মুক্ত একটি সমাজ। গড়ে তুলতে পারে শিশুর হাসিতে মুখরিত একটি সুন্দর দেশ।
আনন্দঘন পরিবেশে মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সারাদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষিত হয়।
অনুষ্ঠানের সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন মুক্তমন, খেলাঘর, সুরমা খেলাঘর।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন অংশুমান দত্ত অঞ্জন, জামাল আহমদ, জামাল উদ্দিন হাসান বান্না, শিশু শিল্পী অংকিতা দাস, অনামিকা ধর রায়সহ আরো অনেক শিল্পীবৃন্দ।