April 26, 2024, 2:20 pm

সংবাদ শিরোনাম :
জমির ধান নষ্ট করে দিলো প্রতিপক্ষ: দিশেহারা কৃষক সিলেটে ইট ভাটা নিয়ে নজিরবিহীন কেঙ্ককারী বিশ্ব গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে, বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না : প্রধানমন্ত্রী সুজানগর ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মাওলানা লুৎফুর রহমানের মৃত্যু ”গুজব সংবাদ ফেসবুকে” বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বিজিবির নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে সচিবদের :প্রধানমন্ত্রীর বইমেলা বাঙালি জাতিসত্তা দাঁড় করাতে সহায়ক : কবি নুরুল হুদা দুর্নীতি-অনিয়ম র অভিযোগে ডৌবাড়ী প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের ৪ সদস্য বহিষ্কারের অভিযোগ ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী গোয়াইনঘাটের শীর্ষ কুখ্যাত চোরাকারবারী কালা মিয়া বিছানাকান্দি সীমান্তে অবৈধ পথে ঢুকছে ভারতীয় গরু :নেপথ্যে গোলাম হোসেন! বাদাঘাট মসজিদে ৫ লাখ টাকার অনুদান দিলেন সেলিম আহমদ এমপি রতনের আশীর্বাদ : যাদুকাটা গিলে খাচ্ছে রতন-মঞ্জু গোয়াইনঘাটে স্কুলের নামে প্রবাসীর জমি দখল গোয়াইনঘাটে এক শিবির নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ  সিলেটে শেখ হাসিনার প্রথম সফর স্মরণ করে আবহবিচ’র দু’আ মাহফিল শেখ হাসিনার সিলেট শুভাগমণের ৪৩ বছর সোমবার সিলেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক এমপির আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা নির্বাচিত সুনামগঞ্জের গোলাম আজম তালুকদার দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মোখা:‘পরিস্থিতি বুঝে’ এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নির্বাচনের ৪ দিন আগে নতুন যে প্রতিশ্রুতি দিলেন এরদোগান উত্তাল পাকিস্তান, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘটত না: ট্রাম্প কী হচ্ছে, আর কী হবে তা সময়ই বলে দেবে: অপু বিশ্বাস সুদান থেকে ফিরলেন আরও ৫১ বাংলাদেশি
উন্নয়নে যত বাধার কারণ!

উন্নয়নে যত বাধার কারণ!

Please Share This Post in Your Social Media

মো. তাজ উদ্দিন::এশিয়ার মধ্যে রক্তঝরা স্বাধীন যদি কোন দেশ থাকে নাম হবে বাংলাদেশ, বিগত ১৬ই ডিসেম্বের মধ্যদিয়ে ৫০ বছর পার করে এ দেশ, তার নিকটতম স্বাধীনতাগামী সঙ্গী কাতার-১৯৭১ সালে, মালয়েশিয়া-১৯৫৭ তে, সিঙ্গাপুর ১৯৬৮ সালে পুর্নস্বাধীনতা লাভ করে, আল-খানি গোষ্টির দেশ “কাতার” বর্তমানে বিশ্বে মাথাপিছু আয় সবার উর্ধে, তারা গ্যাস রপ্তানীতেও এগিয়ে। “প্রাচীন সভ্যতার জনভূমি ইরান”! ১৫০১ সাল হতে টানা দীর্ঘদিন পর রাজার শাসন থেকে ১৯৭৯ সালে মুক্তি লাভ করে এশিয়ার উন্নত দেশে পরিনত হচ্ছে।

এক সময় ইরান দারিদ্র সিমায় থাকায় কিছু লোক এ দেশের ফুটপাতে ব্যবসা করছে! আজ ইরান কত এগিয়ে, তার অগ্রযাত্রা বন্ধ করতে প্রতিহিংষা পরায়ন সেনা প্রধান কাসেম সুলাইমানিসহ বড়সব দেশ প্রেমিকে টার্গেক করে হত্যার মাধ্যমে ইউরোপ থেকে আগলে রাখতে চায় ইয়াহুদি রাষ্ট্র আমেরিকা। নিরিহ মানুষ হত্যাকারী দেশ মিয়ানমার! ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে চীনের মতাদর্শের ভিত্তিতে সচেতনতার দিকে অনেক এগিয়ে।

মিয়ানমারের আং সান সুচি ভারতীয় সরকার মুদির উগ্র ধর্মীয় মনোভাব! মসলিম রোহিঙ্গাকে কাজকর্ম দিতে ব্যর্থতা, অন্যায়ের আশ্রয়, জুলুম-নির্যাতন, ঘুম, খুন, গণহত্যার মাধ্যমে ধর্মীয়রিতী বাস্তবায়ন সরলতার পথ খুজে বাংলাদেশে পাঠিয়ে রাজার মতো রয়েছে। বাংলাদেশ এর প্রতিবাদ অব্যাহত রাখায় কিছুটা টনক নড়ে সুচি’র।

বাংলাদেশ উন্নয়ন হয়নি এ কথা বলা যাবেনা, অনেক উন্নয়ন হয়েছে এবং তার লক্ষ্যমাত্রাও অব্যাহত রয়েছে। সুতুরাং লংকায় গিয়ে রাবনের দল বেড়ে যাওয়ায় সর্বপরি গুরুত্বপূর্ন উন্নয়নমূলক কাজ ঢেকে যাচ্ছে। তদারকির ব্যর্থতার কালো থাবায় দূর্নীতিবাজদের কবলে পড়ে সৎ ব্যক্তিরাও বাধ্য হয়ে চোর ডাকাতদের হাতে জিম্মি। ইদানিং বিদেশ টাকা প্রচার, বেগমপাড়া, জাতীয় বেঈমান কথাটি গণমাধ্যমে চলে আসছে। সরকার বাহাদুর কালো টাকার মালিকদের চিহ্নিত করে জোড়ালো প্রদক্ষেপ নিতে গেলে অপরাধীরা বাসা-বাড়ী বহুতল ভবন ও বড় আকারে কৃষি জমি ক্রয় করে কালো টাকা সাদা টাকা করছে। এ ভাবে যদি ব্যক্তির স্বার্থ প্রধান্য পায় তাহলে “কাতার-সিঙ্গুপুরের স্বপ্ন কিভাবে দেখবে বাংলাদেশ”।

ক্ষমতা অপব্যবহার, রাজনৈতিক প্রতিহিংষা, অহংকার, স্বার্থপরতার অব্যাস বাড়ছে। ধনিদের টাকার কাছে হেরে গিয়ে গরীবের জেল হচ্ছে, ঘোষখুররা আইনের ফাঁক দিয়ে বাহির হয়ে পূর্বেন্যায় অপরাধ করছে। কিছু স্বার্থন্ব্যাশীমহল কোম্পানীর নামে ব্যাংক ঋন নিয়ে আত্মসাৎ করছে, যারফলে প্রকৃত ব্যবসায়ী ও কৃষক পরিবার ঋন পাচ্ছেনা, মামা ভাগিনার মতো কৃষক ও খামারিদের ঋন নিয়ে যাচ্ছে রাঘব বোয়ালরা। আমাদের মনে রাখতে হবে পুকুরের রুই-বোয়াল বড় থাকলে কই-মাগুর পাওয়া কঠিন। বন্ধ হচ্ছেনা অসৎ উপায়ে টাকা রুজির ফন্দি।

বাড়ছে ডাক্তারদের বেপরোয়া টাকা রুজির পালা। এখন মানুষ ডাক্তার দেখাতে মানুষ ভয় পায়! সাধারণ খেঠেখাওয়া মানুষ এক হাজার টাকা নিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ী ফিরতে পারবেনা বলে মনে হচ্ছে। কিছু ডাক্তারের কমার্শিয়াল মনোভাব আর ভূল চিকিৎসার মাজে অর্থের প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছে মানুষ, বাঁচার জন্য চিকিৎসকের স্বরনাপন্ন হলে ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা ফিস গুনতে হয়, এক সাপ্তাহ পর পুনরায় গেলে আরো ৫০০ টাকা আদায় করেন। তাদের এহেন কার্যক্রমে সর্বপরি মানুষের মৃত্যু সহজ হয়ে উঠছে। রোগীর টেস্টের জন্য ডায়গনেস্টিক সেন্টারে পাটিয়ে দিলে আর উপায় নাই!! রিপোর্টের জন্য চাউল-ঢাল বিক্রয় করে দারিদ্র পরিবার রিপোর্ট আনতে শুনা যায়।

অন্যদিকে ভূমি কর্মকর্তাগণ গ্রাহকদের কেমন যেন ব্যবহার করছেন, ভূমি অফিসে চাকুরী নেওয়া সোনার হরিণে পরিনত, ভূমি কর্মকর্তাগণ কৌশল অবলম্বন করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন, যাহা তদন্তকারীগণ ঘুমিয়ে আছেন!! সরকারের অনলাইন নামজারী লাথি মেরে পুর্বেরন্যায় উৎকোচ নিচ্ছেন। যার ফলে নামজারী সংক্রান্ত অজানা সাধারণ গ্রাহক প্রতারণার শিকার বাড়ছে। অতিষ্ট মন বেশিদিন বন্দি থাকেনা, প্রকাশিত হয়ে ক্ষোভের রূপ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়! টেন্ডার পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ারদের অসৎ যোগাযোগিতে নিতান্তই অবহেলায় রাস্তায় মরছে মানুষ, ভ্রমনকারী যাত্রী মারাগেলে ঘুম থেকে জেগে উঠেন কর্তৃপক্ষ, তখনই ঝুকিপুর্ন রাস্তা ও কালভার্ট মেরামত করতে দেখা যায়।

বিদ্যুৎতের তারে মানুষ বেজেগেল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সজাগ হন, তাদের দুর্নীতির ও কমতি নেই, মিটার রিডার কারকদের হাতে মানুষ এখন জিম্মি। দূর্নীতির বিষয়টি লেখা শুরু করলে পত্রিকায় লিখা শেষ হবেকি? আমাদের মনের পরিবর্তনে দেশের উন্নয়ন অনিবার্য্য না হলে স্বাধীনতার সঙ্গীয় দেশগুলী ছেড়ে উন্নয়নের দিকে যাবেতো! আমরা চোখ দিয়ে শুধু দেখতে শিখবো, তাদের সঙ্গে তাকতে হলে দেখতে হবে আমরা কি করছি? পোশাক আর শ্রমিক রপ্তানী ছাড়া অন্য কিছুতেই সম্পন্ন আছি কি না।

আমাদের দেশের মাটিতে ১২ মাস ফসল হয়, অন্য কোন দেশে বার মাস চাষাবাদ করে ফল পাওয়া কঠিন হতে পারে। মূল কথা হচ্ছে মানুষে মন মস্তিস্ক সঠিক পথে ব্যবহার করতে যদি না পারি তাহলে দোষাদোষি করে লাভ কি, তারাতো সুযোগ বুঝে মানুষ হত্যাসহ অপকর্ম চালিয়ে যাবে! সুষ্ঠ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে অনেক পিছিয়ে থাকায় ব্যক্তিস্বার্থ, দূর্নীতি, অপচয়, বহিরাগত প্রতিহিংষা লেগে থাকায় দেশকে এগিয়ে নিতে অনেক বাধার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। দেশের উন্নয়ন মূলক অনেক কাজ অবহেলায় দিনের পর দিন চলে যাচ্ছে। করোনা আর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে নিরভে শাস নিচ্ছে মানুষ। আবাসিক আইন বাস্তবায়ন না থাকায় কৃষকের জমি ভরাট হচ্ছে, খনন থাকছে অব্যাত বাধ্যতা মূলক করতে হবে ১০টি পরিবারের জন্য ১টি বাড়ী।

সরকার এ সিদ্ধান্ত নিলে পরিকল্পিত আবাসন তৈরী অথবা বহুতল ভবন তৈরী করে কৃষিজমি রক্ষা করা সম্ভব হতে পারে। কৃষকেরা ন্যায্য মূল্যে সার না পাওয়ায় পর্যায়ক্রমে কৃষিখেত বন্ধ হওয়ার আসংকা রয়েছে, কোন কোন কৃষক খেতের জমি বিক্রয় করছে প্রবাসি ও ধনাঢ্য ব্যক্তির নিকট। আর এসব ধনাঢ্য পরিবার কৃষিখেত করছেনা বলেই চলে। যার ফলে কৃষি জমির মালিক হয়ে যাচ্ছে ধনাঢ্যরা, আর ৫০ ঘরের টাকা চলে যাচ্ছে ১ ঘরে।

আবার কেউ কেউ ব্যাংকের নিকট থেকে কৃষি জমি বন্ধক দিয়ে ঋন সংগ্রহ করছে। এসব কারণে সংকোচিত হয়ে নিরভে বিপর্যয় ঘটছে কৃষি জমি। দিনে অনুমান ২০ হেকট্টর কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে, আর প্রতি বছর ৬৯ হেক্টর কৃষি জমি কমছে। বেকার হয়ে যাচ্ছে মানুষ, যানা যায় দেশে জনগোষ্ঠীর মধ্যে পাঁচ কোটি ছয় লক্ষ যুবকের মধ্যে বেকার রয়েছে যুবক দুই কোটি ২৮ লক্ষ। দরিদ্র যুবকের সংখ্যা এক কোটি ৫৭ লক্ষ, আর শিক্ষিত যুবক দুই কোটি ৭৯ লক্ষ, আর ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুনদের ৪০ শতাংশের নেই শিক্ষা, নেই কোনো কর্মসংস্থান, চাকুরীতে প্রবেশ করার মত পর্যাপ্ত পরিমাণ নেই তাদের প্রশিক্ষন। জীবনমান উন্নয়নে প্রতি জেলায় জেলায় ইন্ডাট্রিয়াল কল-কারনা করার প্রস্তাব বার বার বলাহলেও এ কথার কোন গুরুত্ব পাচ্ছেনা। উন্নয়নের অন্যতম পদ্মা সেতুর কথা জনমনে উঠে আসলেও শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া অনেক উন্নয়ন ধাবিত হচ্ছে। আর দেশে যেসব উন্নয়ন হয়েছে এর জ্বালা নিকটতম কিছু দেশ সইতে না পেরে কৌশলগত হিংষাপরায়ন গার্মেন্টস সেক্টর জ্বালাওপুড়াও, সামরিক শক্তি বলবান করতে বাধা ও উন্নয়নমূলক আমদানীতে “রাজার অনুমতি”, রোহিঙ্গা ইস্যু, পিয়াজ ইস্যু, অনব্রত নেশা জাতীয় দ্রব্য রপ্তানী করে যুবসমাজকে মেধাশূন্য করার পায়তারা।

আজ রাষ্ট্র প্রধান মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি নিয়ে ব্যস্ত,“হিংষ্র রাজার চরিত্র টিক করতে ব্যর্থতা”,অধিকার আদায় শুধু এদেশে, অধিকার করার ক্ষমতা পাকড়াও,“স্বাধীনতা দিয়েছি ভক্তিকরো মোরে”। কাহারো হুকুমে ক্ষমতার পতন অনিবার্য্য করিবে তোমি কে? নতজানু বন্ধ করে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাওয়া এখন সময়ের দাবি, ইজ্জত-সম্পদ নয়, রক্ত আর লাশের উপর দিয়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। সোনার খনি যদি চলে যায় ফিরিয়ে এনে চোরের খনি বিদায় করে চেতনা, বিশ্বাস জাগ্রত করে তুলতে হবে, দেখা যাবে হিংষুকের থাবা এ দেশ থেকে চলে যেয়ে উন্নত রাষ্ট্রের দিকে দেশ এগিয়ে যাবে।

 

সিলেট৭১নিউজ/টিআর /মো.তাজ উদ্দিন

 





Calendar

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  



  1. © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2017 sylhet71news.com
Design BY Sylhet Hosting
sylhet71newsbd