সিলেটে কুমারগাও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা নেই। নেই কোন অটো ইভেন্ট রেকর্ডার। বিুদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে উঠে আসে এ চিত্র। আর এত বড় একটি স্থাপনায় এসব না থাকা অনেকটাই অবাক করা মতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি)-এর গাফিলতি হতাশ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটিকে।
অগ্নিকাণ্ডের পরপরই বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রহমত উল্লাহ মো. দস্তগীর, এনডিসিকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়। গত ১৭ নভেম্বর কমিটি গঠন করার পর তদন্ত কমিটি সরেজমিন পরিদর্শনে যায়। তদন্ত কমিটি পরিদর্শন শেষে ঢাকায় চলে গেছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় ৭ দিনের সময় দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব পাওয়ার সেলের পরিচালক মো. আব্দুর রউফ মিয়া গণমাধ্যমে বলেছেন, কুমারগাঁও উপকেন্দ্রে কোন সিসি ক্যামেরা নেই। ফলে আগুন কেন লেগেছে তা উদঘাটন স্থানীয়দের সাক্ষীর ওপরই নির্ভর করছে। আমরা উপস্থিত সকলের কাছে শুনেছি কেন কীভাবে আগুন লেগেছে। তারা আমাদের জানিয়েছে হঠাৎ করে তারা ধোঁয়া দেখতে পেয়ে এগিয়ে গেছে। কিন্তু আশে পাশে তখন ধোয়ায় অন্ধকার হয়ে গেছে। তিনি বলেন, অন্যসব বড় উপকেন্দ্রে অটো ইভেন্ট রেকর্ডার থাকে। কখন কি হচ্ছে না হচ্ছে তা সেখানে সংরক্ষিত থাকে কিন্তু কুমারগাঁও সাবস্টেশনে তাও নেই।
কুমারগাঁও সাবস্টেশনের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ক্ষমতা ২২০ মেঘাওয়াট। সিলেট ছাড়াও সুনামগঞ্জসহ আশে পাশের এলাকায় এখান থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করে পিজিসিবি। একই সঙ্গে এখানে দুটি ট্রান্সফরমার দিয়ে সিলেট শহরে বিদ্যুৎ বিতরণ করে পিডিবি। কুমারগাঁও উপকেন্দ্রের জায়গাতে দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।
গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সিলেটের কুমারগাওয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিডের (পিজিসিবি) নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় গ্রিড লাইনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দুইটি উচ্চ ক্ষমতার ট্রান্সফরমার, সার্কিট ব্রেকার, কন্ট্রোল প্যানেল পুড়ে যায়। এতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় সাড়ে চার লাখ গ্রাহক।
Surto: Jalalabad