ভারতের করিমগঞ্জে বাংলাদেশের সিমেন্ট রপ্তানি ও পাথর আমদানির শুভ সূচনা হয়েছে। গতকাল সোমবার জকিগঞ্জ স্থল শুল্ক স্টেশন প্রতিষ্ঠার ৭৩ বছর পর এই প্রথম এ স্টেশন হয়ে ভারতে পৌঁছেছে সিমেন্টের একটি চালান।
জকিগঞ্জ স্থল শুল্ক স্টেশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট মিজানুর রহমান মুন্সি জানান, নারায়ণগঞ্জের প্রিমিয়ার সিমেন্ট কারখানা থেকে এমডি প্রিমিয়ার-৬ নামক সিমেন্টবোঝাই একটি জাহাজ গত রোববার জকিগঞ্জে এসে পৌছে। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে গতকাল সোমবার তা জকিগঞ্জের ওপারে আসামের করিমগঞ্জ জাহাজঘাটে নোঙর করে। আসামের করিমগঞ্জের কর এন্ড সন্স নামক একটি প্রতিষ্ঠান তা আমদানি করে। সিমেন্ট আমদানির মুহূর্তটি ভার্চুয়ালি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্বোধনের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুনীল কুমার সিং, আইডব্লিএ’র সদস্য (ট্রাফিক) শষি ভুষণ শুক্লা, আইডব্লিউএ’র পরিচালক (গৌহাটি) সুরেন্দ্র সিংসেহ কাস্টমসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তা উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে জকিগঞ্জ সীমান্তের ওপারে করিমগঞ্জ কাস্টমস ও জাহাজ ঘাটকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়।
তিনি আরও জানান, এই চালানে আড়াই হাজার ব্যাগ সিমেন্ট রয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গত ২৮ অক্টোবর থেকে আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাসের জন্য প্রিমিয়ার সিমেন্ট কোম্পানিকে সিমেন্ট রপ্তানির জন্য প্রাথমিক অনুমতি দিয়েছে।
জকিগঞ্জ কাস্টমস ঘাটে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কাস্টমস পরিদর্শক বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি, বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার জাহাঙ্গির আলম, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ম্যানেজার ড. সালাউদ্দিন, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত পাল প্রমুখ।
প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন জানান, নৌপথে আসামের সঙ্গে রপ্তানি বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ থেকে অল্প খরচে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্য সুবিধা বিস্তৃত হবে। এতে দুই দেশই উপকৃত হবে।
বাংলাদেশের আভ্যন্তরিণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, গত পহেলা নভেম্বর এই চালানটি নারায়ণগঞ্জ থেকে যাত্রা শুরু করে মেঘনা নদী হয়ে আশুগঞ্জ পৌঁছায়। পরবর্তীতে কুশিয়ারা নদী দিয়ে জকিগঞ্জ কাস্টমস হয়ে করিমগঞ্জে নোঙর করে।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, এমভি জান্নাত ও এমভি হাজী বশির নামের কার্গোর মাধ্যমে ভারত থেকে ৩৭৫ মেট্রিক টন চুনাপাথর আমদানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে করিমগঞ্জ জাহাজ ঘাটে।