সিলেটে হঠাৎ করে শীত পড়তে শুরু করেছে। এ বছর কার্তিকের মাঝামাঝি সময়ে এসে শীত অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে শেষরাতে শীতের আমেজ বেশি মিলছে। শহরের তুলনায় অবশ্য এরই মধ্যে গ্রামের মানুষ শীতকে বরণ করে নিয়েছেন।
এদিকে,আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আবহাওয়াগত কারণে এবার পুরোপুরি শীত পড়বে ডিসেম্বর থেকে।
কার্তিকের শুরু থেকে প্রচন্ড গরম অনুভূত হলেও গত দু’দিন ধরে সিলেটে হঠাৎ করেই শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। গাছের পাতায়, মাঠের সবুজ ঘাসে জমতে শুরু করেছে শিশির। রাত বাড়ার সাথে হিমেল হাওয়াও বইছে। সেই সাথে নগরীর রাস্তাঘাটে সকালের রূপ বদলাতে শুরু করেছে।
শীত সাধারণত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে পড়তে শুরু করে। কিন্তু এবার আগেভাগেই শীত এসে গেছে বলে অনুভূত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলের পর থেকেই কুয়াশার আবেশ ছড়িয়ে পড়েছে শহরের অনেক স্থানে। আর ছুটির দিন থাকায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহরের ফুটপাতগুলোতে অনেককে শীতের কাপড় কিনতে দেখা গেছে। জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে শীতের কাপড় বিক্রি করছেন, আজাদ মিয়া। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে মানুষ শীতের কাপড় খুঁজছে। তাই, বৃহস্পতিবার থেকে আমরাও শীতের কাপড় বিক্রি করতে শুরু করেছি।
শীত আসার প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে শহরের লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে। লামাবাজার এলাকার লেপ তোষক বিক্রেতা আনোয়ার জানালেন, শীত অনেকটা শুরু হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে অনেকে লেপের অর্ডারও দিচ্ছেন। তবে শহরের তুলনায় অবশ্য গ্রামে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। অনেকেই আলমারি থেকে শীতবস্ত্র বের করে রোদে মেলে দিচ্ছেন। গায়েও চাদর চাপিয়েছেন কেউ কেউ। প্রাতঃভ্রমণকারীদের অনেকে হালকা শীতের পোশাক পরে বের হচ্ছেন ঘর থেকে। আমাদের বিভিন্ন উপজেলা প্রতিনিধি জানান, হঠাৎ করেই গত কয়েকদিন ধরে সকাল বেলা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। ধান কিংবা সবুজ ঘাস রাতের শিশিরে ভিজে যাচ্ছে। যেসকল গ্রাম পাহাড় কিংবা গাছগাছালি বেষ্টিত, সেই গ্রামগুলোতে শীত সবসময় অনেকটা আগামই এসে থাকে।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।