নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুল হক চৌধুরী শাকিল (২৭) ও তাঁর এক সহযোগীর নামে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রায়পুরা থানায় মামলাটি করেন এক তরুণী (১৮)। অভিযুক্ত শাকিল রায়পুরা পৌর এলাকার শ্রীরামপুর উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। তিনি রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল হক চৌধুরীর ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মাস ছয়েক আগে ওই তরুণীর সঙ্গে শাকিলের পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীকে শ্রীরামপুর রেলগেট এলাকায় অবস্থিত রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু অডিটরিয়ামে ডেকে আনা হয়। এরপর কাজি আনার কথা বলে কেয়ারটেকার সুমনের রুমে ওই তরুণীকে বসিয়ে রাখা হয়। রাতে পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে তাঁকে খাওয়ানো হয়। এরপর তাঁর ওপর নির্যাতন চালান শাকিল। এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকার দিলে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ এসে তরুণীকে উদ্ধার করে।
নোয়াখালী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে (২৪) বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে রুহুল আমিন হেলাল (৩২) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই যুবককে তাঁর গ্রামের বাড়ি উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মা-বাবাহীন ওই নারী গ্রামে ফেরেন। এ সময় পৈতৃক নিবাসে থাকতে বাধা দেন তাঁর চাচা-জ্যাঠারা। এ সময় ওই নারীর পাশে এগিয়ে আসেন একই এলাকার রুহুল আমিন হেলাল। ওই যুবক জমি ফেরত পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বসুরহাটে নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এদিকে গত বুধবার দুপুরে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে এক শিশুকে (৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
তাড়াশ-রায়গঞ্জ , তাড়াশে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দীঘরিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে ও রাজশাহী সিটি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সোয়েব ইসলাম শাকিব (২০) দীর্ঘদিন ধরে সপ্তম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে মেয়েটি পাশের পাড়ায় বেড়াতে যাওয়ার পথে জোর করে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন শাকিব।