নিজস্ব প্রতিবেদক,গোয়াইনঘাটঃ
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পাইকরাজ গ্রামে খরিদা জমি দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। চক্রটি খরিদদারদের কাবু করতে সিলেট আমল গ্রহনকারী ১০ং আদালতে চলতি মাসের ১৯ তারিখ একটি নালিশ করে। যাহার নং গোয়াইনঘাট সিআর-২০৬/২০২০।পাইকরাজ গ্রামের মৃত আমান উল্লাহর ছেলে আতাউর রহমান বাদী হয়ে একই গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে আমির উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং আরো ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত রাখেন উক্ত মামলায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাইকরাজ গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে ফরিদ উদ্দিন এবং মৃত আব্দুল বারীর পুত্র বধু আনোয়ারা বেগম ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর পাইকরাজ মৌজার জেএলনং১৪৯,খতিয়ান নং ৭৮৭ এর ৮৪,৮৫ এবং ৮৬ নং দাগে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানাধীন ২নং হাটখোলা ইউনিয়নের উমাইরগাওঁ নিবাসী মৃত বসর মিয়ার স্ত্রী মৃত কমলা বিবির উত্তরাধিকারী আলামিন,তাজ উদ্দিন, কুলসুমা বেগম,তাসলিমা বেগম ও লিলিমা বেগমের নিকট থেকে ৩ শতক ৯২ পয়েন্ট জমি ক্রয় করেন। উক্ত জমি ক্রয় করে দখল ও ভোগ করতে গেলে বাধা হয়ে দাড়ান মৃত আমান উল্লাহর ছেলে আতাউর রহমান, শুয়াইবুর রহমান ও মৃত শফিকুর রহমানের উত্তরাধিকারীরা। উক্ত জমির ক্রয়সূত্রে মালিক ফরিদ উদ্দিন ও আনোয়ার বেগম মাস খানেক সময় ক্রয়কৃত জমি দখল দেহী হতে পারেননি।
উক্ত জমি ক্রয়সূত্রে মালিক ফরিদ উদ্দিন ও আনোয়ারা বেগমের বসতঘরের সন্নিকটে হওয়ায় অবশেষে জমির সীমানায় স্থাপিত বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে দখলনেন ক্রয়সূত্রে মালিক ফরিদ উদ্দিন ও আনোয়ারা বেগম। জমি দখল করে একটি কাঁচা ঘর নির্মাণ করেন তারা। উক্ত ঘরে বর্তমানে একজন মৌলভী ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়াশোনা করাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উক্ত জমির ক্রয়সূত্রে মালিক ফরিদ উদ্দিন ও আনোয়ারা জানান, আমরা নগদ টাকা দিয়ে ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর উক্ত জমি দলিল করেছি। পরবর্তীতে নামজারীসহ জমির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে আতাউর রহমান একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিয়ে আমাদের পরিবারের সদস্যদের হয়রানির উদ্দেশ্যে সিলেট কোর্টে মিথ্যা ও যড়যন্ত্র মূলক মামলা দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এর প্রতিকার চাই। এব্যাপারে আতাউর রহমান বলেন, উক্ত জমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। ওই জমিতে আমাদের গাছপালাসহ নানা স্থাপনা রয়েছে। ফরিদ উদ্দিন ও আনোয়ারা বেগম না-কি আমাদের উমাইরগাওঁ গ্রামের ভাগ্নেভাগ্নির নিকট থেকে কয়শতক জমি ক্রয় করেছেন।কিন্তু কোন দিন দলিল দেখাতে পারেননি। ক্রয়সূত্রে মালিকানা দাবী করে আমার বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে দিয়েছেন তারা।