সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:. অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিলেট ভিউ’র কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল নোমান। কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকও। সে সিলেট ভিউ’র কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি হলেও থাকতো নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকায়। তাই সপ্তাহে ৩/৪ দিন অল্প সময়ের জন্য বসতো সিলেট ভিউ অফিসে।
ঘটনার রাতের নোমানের মোবাইলের কল লিস্ট এবং বিকাশ একাউন্ট যাচাই করলে অনেক তথ্য পাবে তদন্ত কমিটি। বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর হোসেনের খালাতো ভাই হল নোমান। নোমান কোম্পানীগঞ্জের পাথররাজ্যের সেরা চাঁদাবাজ হিসেবে খ্যাত। আকবরের সকল অপকর্মের রফাদফা নোমানই করতো। এছাড়াও তার উপর অভিযোগ আছে কোম্পানীগঞ্জের পাথররাজ্য থেকে সিলেটের কর্মরত ৪০ জন সাংবাদিকদের নাম বলে মোটা অংকের মাসিক বখরা আনার। আকবরের শেল্টারে একটি বর্ডারক্রস মোটরসাইকেল Yamaha mt-15 চড়ে দাপিয়ে বেড়াতো সে আর আকবর।
নোমানের পিতা : মো. ইছরাইল আলী, কোম্পানীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক। আব্দুল্লাহ আল নোমান (০১৭১৭০৪৮৪৮১) তার মা বিলকিস আক্তার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একজন স্বাস্থ্য কর্মী। বর্তমানে নগরীর হাউজিং এস্টেট এর ভাড়াটিয়া বাসিন্দা।
নোমানের কর্মস্খল অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিলেট ভিউ রায়হান হত্যাকান্ডকে অন্য মোড় দিতে চেয়ে ছিলো। নোমানের ইশারায় ”নগরীর কাষ্টঘরে গণপিটুনিতে ছিনতাইকারীর মৃত্যু” এমন সংবাদ প্রকাশ করে নিহত রায়হানকে ছিনতাইকারী বানানোর চেষ্টা করেছিলো সিলেট ভিউ কর্তৃপক্ষ। তবে এই হত্যাকান্ড নিয়ে সিলেটের সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের কারণে তা করতে ব্যর্থ হয় তারা।
পরে নিজেদের অপরাধ ঢাকতে মাত্র ৩ ঘন্টার ব্যবধানে কৌশলে ”নগরীর কাষ্টঘরে গণপিটুনিতে ছিনতাইকারীর মৃত্যু” শিরোনামের প্রতিবেদনটির হেডলাইন ”বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘পুলিশি নির্যাতনে’ যুবকের মৃত্যু” লিখে তা পরিবর্তন করে!
সিলেট ভিউ’য়ের ”নগরীর কাষ্টঘরে গণপিটুনিতে ছিনতাইকারীর মৃত্যু” এই সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়। তথ্য গোপণ করে সিলেট ভিউ’য়ের এই সংবাদ প্রকাশের কারণে নিহত রায়হান আজ ছিনতাইকারী।
গত ১২ অক্টোবর সিলেট ভিউ ও বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির একই সুতোয় বাঁধা বলে আমার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টে নোমানের ছবিসহ পরিচয় তুলে ধরে ছিলাম। তবে কেনো জানি, একটি পত্রিকাও নোমানের পরিচয় তুলে ধরেনি।কারন হয়তো, সিলেট ভিউ’র সম্পাদক শাহ দিদারুল আলম নোবেলকে সিলেটের সাংবাদিকরা ভয় পান। আর না হয়,নোবেলের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হবে এই ভেবে পরিচয় দেন নি।
এদিকে, সিলেট ভিউ’র সম্পাদক শাহ দিদারুল আলম নোবেল বিষয়টি জেনেও তার স্টাফ আব্দুল্লাহ-আল নোমানের জড়িত থাকার বিষয়টি সিলেট প্রশাসনকে অবগত করেন নি! এমনকি নোমানের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শাস্তি মূলক ব্যবস্থা বা তার সিলেট ভিউ অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের কোনো দু:খ প্রকাশ করেনি!
তবে,সিলেট ভিউ বুধবার রাতে দৈনিক যুগান্তরের একটি প্রতিবেদন কপি করে নিজেদের পোর্টালে,এসআই হাসান ও এক সাংবাদিক মিলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাল্টায়” এমন শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সম্পাদক সাহেব আপনি কিন্তু এর দায় এড়াতে পারেন না। কারণ এই নোমান আপনাকেও খুশ করতো। নোমান আপনার স্টাফ না- এমন বলে আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। সিলেট ভিউয়ে নোমানের নামে প্রকাশিক প্রতিবেদনের লিংক দিলাম। এসএমপি’র তদন্ত কমিটি কাছে আপনার হাউজের এসব তথ্য রয়েছে। প্রশাসনের বরাত দিয়ে যে তথ্য ছাপিয়ে ছিলেন। সেটা আপনাদের মনগড়া বক্তব্য আপনাদের ছিলো!