গোয়াইঘাট প্রতিনিধি:সিলেটের গোয়াইনঘাটে এক হিন্দু পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মুসলিম নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের তিন মাসেও আটক হয়নি ধর্ষক অনিল সরকার। ওই নারী ধর্ষণের দেড়মাস পর এসপির নির্দেশে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা রেকর্ডভূক্ত করা হয়। যার মামলা-নং ৩৩/২০১,তারিখ ২৭/০৭/২০ইং। মামলা রেকর্ডভূক্ত হওয়ার প্রায় তিন অতিবাহিত হলেও হিন্দু পল্লী চিকিৎসক অনিল সরকার গ্রেফতার হয়নি। তাকে খুঁজছে পুলিশ। ধর্ষক অনিল সরকার গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের সিন্নাতপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুন রাত ১০টার দিকে তার স্বামী বাইরে গেলে ধর্ষক পল্লী চিকিৎসক অনিল সরকার সুকৌশলে তার বসত ঘরে ঢুকে। ঘুমিয়ে থাকা শিশু সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে। তখন তার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষক অনিল সরকারকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। এরপর এলাকার ব্যক্তিবর্গ এসে বিচারের আশ্বাস দিয়ে অনিল সরকারকে জনতার হাত থেকে নিয়ে যায়। অনিল সরকার প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি। এরপর গত ১৮ জুন তিনি গোয়াইনঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ দায়েরের ১ মাস ৮ দিন অতিবাহিত হলেও অভিযোগ আমলে নেয়নি পুলিশ। ন্যায় বিচারের আশায় বারবার পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোন বিচার না পেয়ে অবশেষে তিনি সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলা আমলে নেয় পুলিশ। কিন্তু এখনও এই লম্পট চিকিৎসককে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। কিন্তু পুলিশ নাম মাত্র মামলাটি থানায় রেকর্ডভূক্ত করেছে। আসামি ধরার কোন খবর নেই। পুলিশের নিবরতায় এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনার ঝড়।
ধর্ষিতা নারী জানান, মামলা দায়ের পর থেকে অনিল সরকারের লোকজন বিভিন্ন ভাবে তাকে হুমকি প্রধান করে যাচ্ছে। ওই নারীর কাছে তার স্বামীও নেই। সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। যেকোন ধর্ষকের লোকজন তাদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তিনি আরও জানান, এসআই আব্দুল আহাদ আসামি অনিল সরকারকে গ্রেফতার না করে বার বার আমার সাক্ষীদের হয়রানি করে আসছেন। যাতে ভয়ে সাক্ষীরা আমার বিরুদ্ধে চলে যায়। তিনি আসামি অনিল সরকারকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল আহাদ বলেন, ধর্ষক অনিল সরকার পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।