সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:টাকার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স তাহমিনা সুলতানা শিমুকে (৩২) গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে চিনিশপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাহমিনা বেলাব উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নের হাড়িসাংগান গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. সুলতান উদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. আলাউদ্দিন মিঠু বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, ২০১৩ সালে তাহমিনা সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি নেন। তারপর ২০১৪ পার্শ্ববর্তী পাটুলী ইউনিয়নের বাবলা গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে রুহুল আমিন মুরাদের সঙ্গে তাহমিনার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে টাকার জন্য স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এ ঘটনায় একবার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে এক বছর আলাদা থাকেন তাহমিনা। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের সমঝোতায় সংসার শুরু করলেও টাকার জন্য চাপ কমেনি। এরই মধ্যে সম্প্রতি শ্বশুরকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন, শাশুড়িকে চিকিৎসা করান। তারপরও বুধবার রাতে তাকে গলাটিপে হত্যা করেন স্বামী রুহুল আমিন।
খবর পেয়ে নিহত তাহমিনার খালা পারুল অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের বড় ভাই আলাউদ্দিন মিঠু সাংবাদিকদের বলেন, সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিল। গত ২১ সেপ্টেম্বর নরসিংদী সদর হাসপাতালে যোগদান করে গত ২ অক্টোবর নরসিংদীর বাসায় ওঠে। তার শ্বশুর-শাশুড়ি সব সময় টাকার জন্য নির্যাতন করত। এবার তাকে মেরেই ফেলল।
নিহতের বড় বোন সাদিকুন নাহার রিপা বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইলে আমার সঙ্গে শিমুর কথা হয়। সে জানায়, সন্ধ্যায় শ্বশুর তার স্বামীকে ফোন করে টাকার জন্য চাপ দেয়। আর রাতেই তাকে হত্যা করা হল।নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে হত্যার আলামত হিসেবে গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।