সিলেট:: বাংলাদেশে শরৎকাল শুরু হয় আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে আর শেষ হয় অক্টোবরের মাঝামাঝিতে। বর্তমানে চলেছে সেপ্টেম্বর । শরৎকালে আবহাওয়ায় হালকা ঠাণ্ডা থাকে। কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয় হল শরতের বৈশিষ্ট্যের ছিটেফোটাও নেই বলা যায় আবহাওয়ায়। হালকা ঠাণ্ডার পরিবর্তে দেখা মিলছে তীব্র গরমের।
আবহাওয়ার এ পরিবর্তন দেখে এক কথায় বলা চলে শরৎকালে চলছে গ্রীষ্মের তাপদাহ। আর এ তাপদাহের প্রভাব পড়েছে সিলেটে।
প্রচণ্ড তাপদাহে বিধ্বস্ত সিলেটের জনজীবন। করোনাকাল থাকা সত্বেও মানুষ কাজের খুঁজে বেড়িয়ে পড়ছেন । রাস্তাঘাটে যানজটের কারণে গরমের তীব্রতা যেন কয়েকগুণ বেড়ে অসহনী পর্যায়ে চলে গেছে। তাই সব মিলিয়ে বলা চলে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা চলছে সিলেট নগরজীবনে। এছাড়া গতকাল থেকে সূর্যের প্রখর তাপে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেক মানুষ।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে সিলেটে ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিলো। এদিকে আজ সকালে থেকে আবারো প্রচণ্ড তাপদাহে দেখা যাচ্ছে সিলেটে । তবে এই তীব্র গরম কমতে শুরু করবে চলতি সপ্তাহে। কেননা চলতি সপ্তাহজুড়েই বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার দেয়া আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে এই তথ্য।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগসহ ঢাকা, রাঙামাটি, মাইজদী কোর্ট, ফেনী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, মংলা, যশোর, বরিশাল ও ভোলা অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়ছিলো, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।