নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : গ্রিসে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত মমিন ও শাহীনের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে এখনও মাতম থামছে। সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা। একমাত্র চাওয়া দ্রুত তাদের লাশ দেশে ফেরানো হোক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, মরদেহ দেশে ফেরাতে সবধরণের সহায়তা দেয়া হবে।বুকভাঙা আর্তনাদ মায়ের। দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রবাসেই প্রাণ গেছে ছেলের। শোকে স্তব্ধ এলাকাবাসীও।
স্বজনরা জানান, পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে ১৪ বছর আগে ইউরোপের দেশ গ্রিসে যান হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কামড়াখাই গ্রামের আব্দুল মমিন। তার মতো একই আশায় মাত্র ২ বছর আগে গ্রাম ছাড়েন ঐ এলাকার শাহীন মিয়াও। সেখানে একটি কন্টেইনার কোম্পানির নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করছিলেন তারা। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করে একদল দুর্বৃত্ত দুটি কন্টেইনারে ডাকাতির চেষ্টা চালায়। এতে বাধা দিলে মমিন ও শাহীনকে গুলি করে হত্যা করে তারা। হবিগঞ্জ নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন বলছেন, লাশ দেশে ফেরাতে সবধরনের সহায়তা করা হবে।
জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে, নানা উপায়ে হবিগঞ্জ থেকে বছরে ৬ শতাধিক মানুষ ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে ইউরোপে পাড়ি জমান। বর্তমানে প্রবাসে কাজ করছেন জেলার অন্তত: ১৫ হাজার কর্মী।