সরকারের মাঠ পর্যায়ে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ। মাঠ প্রশাসনে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তারা। সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সকল (ইউএনও)দের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সারাদেশের মত সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিরাপত্তায় আনসার সদস্যরা যুক্ত হয়েছেন। (৫ সেপ্টেম্বর) শনিবার সকালে সরকারি কাজে উপজেলার সাহেবের বাজারে একটি আশ্রায়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন, সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মহুয়া মমতাজ। এসময় তাহার ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় আনসার সদস্যদের দেখা যায়।
প্রতিনিয়ত (ইউএনও) গণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে আইনশৃঙ্খলা ও সকল সামাজিক সকল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে থাকেন। যে কারণে অনেক সময় নেওয়া সিদ্ধান্ত স্বার্থান্বেষী মহল অসন্তুষ্ট হয়। অনেক সময় সরকারি সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথেও সৃষ্টি হয় সমস্যা। দীর্ঘদিন থেকে তাদের জীবনের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলেছিল জোর আলোচনা।
অবশেষে গত (২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনের ভিতরে ডুকে তার পরিবারের উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে তিনি আশংকাজনক ভাবে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মূলত এই ঘটনার পর সারাদেশের (ইউএনও)দের নিরাপত্তার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সাহেবের বাজারের চানপুর গ্রামে আশ্রায়ন প্রকল্প পরিদর্শনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সিলেট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন্ত ব্যানার্জী, বহর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি- সহকারী কর্মকর্তা অসিত বরণ দাস, সদর ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ওমর ফারুক প্রমুখ।