নিজস্ব প্রতিবেদক:: চার চাকার ব্যাংকিং লেনদেন সিলেটে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে । নতুন এ কার্যক্রম উপকার ভোগিদের মধ্যে বেশ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে এর মাধ্যমে বয়স্ক ও অসুস্থ লোকেরা তাদের সুবিধামত স্থান থেকে এ সেবা গ্রহণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। নতুন এ ব্যাংকিং কার্যক্রমে ইতিমধ্যে সিলেট সদর উপজেলা ছাড়াও নগরীর ১৮টি ওয়ার্ডে প্রায় ৩হাজার উপকারভোগী সুবিধা লাভ করছেন।
সিলেট জেলা পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা জয়নাল আবেদিন সিলেট সদর উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনভুক্ত সুবিধা বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে চার চাকার ব্যাংকিং সেবা চালু করেন । সিলেট জেলা পরিষদ, সিলেট মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও শহর সমাজসেবা কর্মকর্তার সহযোগিতায় ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এতে অনলাইন ডাটা বেজ থেকে/ভাতা গ্রহীতাগণের কাছ থেকে/বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে একাউন্ট খোলাসহ অসুস্থ/প্রতিবন্ধি ভাতাভোগীগণ তাদের সুবিধামতস্থানে ভাতা প্রদানের উদ্যোগ নেন। তিনি তার নিজস্ব কর্মীবাহিনী দ্বারা সিলেট সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বয়স্ক, মাতৃত্বকালিন ও প্রতিবন্ধিভাতা উপকার ভোগীদের হাতে তুলে দেন।
বর্তমানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ড পর্যন্ত এসব ভাতা পৌছানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
তার এ নতুন উদ্যোগ ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে দিয়েছে নগরবাসীর মধ্যে। যার ফলে চার চাকার ব্যাংকিং নতুন মাত্রা পেয়েছে। সব শ্রেণী-পেশার মানুষ এ সেবার সুফল ভোগ করছে। সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে অসুস্থ ও প্রতিবন্ধি মানুষ। তারা নিরাপদে টাকা পেয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নগরীর ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে অত্র ওয়ার্ডের চার চাকার ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বয়স্ক, মাতৃত্বকালিন ও প্রতিবন্ধিভাতা উপকার ভোগীদের হাতে ভাতা তুলে দেয়া হচ্ছে। সকাল বেলা একটু উপস্থিতি বেশি থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে উপস্থিতি কিছুটা হ্রাস পায়। তারপর সারাদিনে প্রায় ৩শতাধিক উপকারভোগীদের মধ্যে ভাতা বিতরণ করা হয়।
চার চাকার ব্যাংকিং কার্যক্রমের উদ্ভাবক জয়নাল আবেদিন জানান, নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডের অসুস্থ ব্যক্তিদের ভাতা তাদের সুবিধামত স্থানে পৌছে দিতে তৎপর রয়েছি। শুধুমাত্র ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবারে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পার্কভিউ মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন জনৈক মহিলাকে মাতৃত্বকালিন ৯হাজার ৬শত টাকা এবং ১৭নং ওয়ার্ডের জনৈক মহিলাকে ৪হাজার৫শত টাকা বয়স্ক ভাতা নিজ হাতে পৌছে দিয়েছি। এরকম অসুস্থ, প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের ভাতা তাদের সুবিধামত স্থানে পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে আমার এই উদ্যোগ।
এ ব্যাপারে আলাপকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান বলেন, চার চাকার ব্যাংকিং একটি ভালো উদ্যোগ। উদ্যোক্তা জয়নাল আবেদিনের নিজস্ব চিন্তাধারা হলেও নতুন এ কার্যক্রম উপকার ভোগিদের মধ্যে বেশ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে এর মাধ্যমে বয়স্ক ও অসুস্থ লোকেরা তাদের সুবিধামত স্থান থেকে এ সেবা গ্রহণ করতে পারছে। নতুন এ ব্যাংকিং কার্যক্রমে সিলেট সিটি কর্পোরেশন সব সময় পাশে থাকবে।