গোলাপগঞ্জ থানার কালিজুরী গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর পুত্র গীতিকার দুঃখী মোঃ রুবেল আহমদ। তিনি অত্যন্ত সাধারণ নীরিহ ও গরীব লোক। গত ১০/৮/২০২০ ইং তারিখে তিনি সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে পুলিশের মিথ্যে হয়রানী থেকে রক্ষার জন্য একটি আবেদন করেন।
আবেদনের সূত্রে জানা যায়,মোঃ রুবেল আহমদ লোকগান ও বাউল গ্রান রচনা করেন। তার রচিত গান সিলেটের বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় বাউল শিল্পী স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিবেশন করে দর্শক-শ্রোতার কাছে বেশ সাড়া পেয়েছেন। তার লেখা একটি গান”কোন পরানে ভুইলা গেলিরে গেলি আমায় প্রেমও সেল মারিয়া”। উক্ত গানটি তিনি ২০০২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রচনা করেন। গানটি বিভিন্ন বাউল শিল্পীর কন্ঠে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। কিন্তু জনৈক যুক্তরাজ্য প্রবাসী শেখ মোফাজ্জল হোসেন ঐ গানটি তার রচিত বলে দাবী করছেন। সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার জহিরপুর (তাজপুর) গ্রামের মৃত ইসরাক উল্লাহর পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী শেখ মোফাজ্জল এর পক্ষে গোলাপগঞ্জ থানার রায়গড় গ্রামের মৃত চেরাগ আলীর পুত্র হাফিজ উদ্দিন লিটন গত ১৭/৭/২০২০ ইং তারিখে গোলাপগঞ্জ থানায় মোঃ রুবেল আহমদের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন। নং- ৭৪৫।
হাফিজ উদ্দিন লিটন উল্লেখ করেন তিনি মোফাজ্জল হোসেনের ভাগিনা কিন্তু তিনি আসলে মোফাজ্জল হোসেনের কোন আত্মীয়ও নন। উক্ত গানটি মোঃ রুবেল আহমদ তার নিজের রচিত দাবী করায় লিটন তার কথিত মামা মোফাজ্জল হোসেনের মান-সম্মান ক্ষুন্ন ও সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন জিডিতে। হাফিজ উদ্দিন লিটন জিডিতে উল্লেখ করেন উক্ত গানটি তার কথিত মামা মোফাজ্জল হোসেন ২০১৮ সালে রচনা করেন অন্যদিকে মোফাজ্জল হোসেন তার ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে বলেছেন তিনি উক্ত গানটি ২০১৬ সালে রচনা করেছেন। মোঃ রুবেল আহমদ তার আবেদনে অভিযোগ করেন মোফাজ্জল হোসেন ভূয়া গীতিকার ও সাধক সেজে তার কথিত ভাগনা হাফিজ উদ্দিন লিটনকে দিয়ে মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে জিডি করিয়েছেন। আর উক্ত জিডির সূত্র ধরে গোলাপগঞ্জ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাইয়ুম বিভিন্ন ধরনের হয়রানী করছেন রুবেল আহমদকে। থানায় এসে দেখা করতে এবং বিষয়টি আপোষে মিমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছেন,তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাইউম রুবেল আহমদ এর খুঁজে একাধিক বার তার বাড়িতে যান রুবেল আহমদ এর খুঁজে ।গানটি মোফাজ্জল হোসেনের রচিত বলে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাইউম। এমতাবস্থায় মোঃ রুবেল আহমদ ও তার পরিবার চরম শংকিত ও আতংকিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।রুবেল আহমদ দাবী করেন তার লেখা এই গানটি শেখ মোফাজ্জল চুরি করে বিভিন্ন শিল্পী দিয়ে তার নামে অনৈতিক ভাবে গাওয়ায়ে গানটি তার বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।এই গানের দাবীদার নয় উক্ত জিডির বাদী হাফিজ উদ্দিন লিটন,সে কোন অবস্থাতেই অন্য কোন লোকের পক্ষে আমার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করতে পারেনা।জিডি যদি করতেই হয় তবে এই গানের দাবীদার কথিত শেখ মোফাজ্জল থানায় সশরীরে হাজির হয়ে জিডি করতে হবে না হয় তা হনে আইন বহির্ভূত বেআইনি কাজ।যা আমার বিরুদ্ধে মোফাজ্জলের ভাড়াটিয়া হয়ে সম্পুর্ন অন্যায় ও অনৈতিক ভাবে জিডি করেছে হাফিজ উদ্দিন লিটন।
গানটি কার লেখা এটা নির্ধারণ করার জন্য দেশে কপিরাইট ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। এছাড়াও দেওয়ানী আদালত স্বত্ব বিষয়ক মামলা নিষ্পত্তি করে। কিন্তু মোফাজ্জল হোসেন আদালতে না গিয়ে তার ভাড়াটিয়া বাদী দিয়ে মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে থানায় জিডি করে অসৎ অভিপ্রায় জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও মোঃ রুবেল আহমদ উল্লেখ করেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মোফাজ্জল হোসেন একাধিক ভূয়া আইডি ব্যবহার করে অশ্লীল ভাষায় বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছেন।
এমন পরিস্থিতিতে মোঃ রুবেল আহমদ তার বিরুদ্ধে দায়ের করার জিডির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে আবেদন করেন।