সিলেট: সিলেটের গোয়াইনঘাটে দারুসসালাম লাফনাউট মাদ্রসার দাওরায়ে হাদিস বিভাগের এক ছাত্রীকে অপহরন করে দর্ষন করার প্রতিবাদে এবং দর্ষকানরীদের শাস্তির দাবিত আসসালাম ছাত্র সংসদ’র উদ্যোগে সারী-গোয়াইনঘাট সড়কের স্থানীয় লাফনাউট বাজারে এক মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত হয়।
এসময় গুরুত্বপূর্ণ এসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে সৃষ্টি হয় জনদুর্ভোগ। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত চলে আছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ গোলাম আম্বিয়া কয়েস, ৫নং পুর্ব আলীরগাঁও ইউপি প্রসাশক শফিকুর রহমান, এসআই মতিউর রহমান, এএসআই সালাহউদ্দিন।
তার মাদ্রাসা মুহতামিম মাওলানা আব্দুল খালিক (চাক্তা) ও শাইখুল হাদিস মাওলানা মাহমুদুর রহমান (রায়গড়ি)’র সাথে আলোচনা করে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে ছাত্ররা মানব বন্ধন প্রত্যাহার করে।পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে রোববার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া মানববন্ধন অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন ক্বারী ফয়সল আহমদ। হাফিজ এহসান উল্লাহর পরিচলনায় এতে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র মাওঃ আইয়ুব আলী, মাওঃ ফয়জুল্লাহ, মাওঃ ইজ্জত উল্লাহ, মাওঃ ময়নুদ্দিন, মাওঃ ইমরান, মাওঃ মহসিন, মাওঃ মামুনুর রশিদ,মাওঃ রহমত উল্লাহ, আসসালাম ছাত্র সংসদ নেতা হাফিজ জসিম উদ্দিন, মৌলভী বিলাল, মৌলভী আনিসুর রহমান, মৌলভী ইমদাদ উল্লাহ, মৌলভী রুহুল আমিন, মৌলভী দুলাল আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে গত ৩ আগষ্ট সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় মাদ্রাসা ছাত্রী তার মা ও বোনের সাথে নিজ বাড়ি রাউতগ্রাম থেকে এক আত্মীয়’র বাড়ীতে রওয়না দেন। বাড়ির সন্নিকটে যাওয়া মাত্র একই গ্রামের মৃত হাতিম আলীর পুত্র বখাটে জহির উদ্দিন (২৯), মৃত মুতলিবের পুত্র বখাটে শরীফ উদ্দিন (৩০), মোহাম্মদ আলীর পুত্র বখাটে ইকবাল জোর পুর্বক ঐ ছাত্রীকে ধরে নিয়ে জহিরের বাড়িতে চলে যায়। ঘটনাটি এলাকায় চাউর হলে প্রায় ৩ ঘন্টা পর ভিকটিমকে অচেতন অবস্থায় ছাত্রীর বাড়ির সম্মুখে রেখে দেয়।
এসময় আশপাশের লোকজন ছাত্রীকে উদ্ধার করে দ্রুত গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এব্যাপারে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বখাটে জহির, ইকবাল ও শরিফের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং (৮) তাং ৮/৮/২০ ইং।