সিলেট জেলায় তিনদফা বন্যায় কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০লক্ষ টাকা। আর পুরোপুরি বিনষ্ট হয়েছে প্রায় ২৪৫৬ হেক্টর জমি। গত এক মাসের মধ্যে পরপর তিন দফা বন্যায় সিলেট অঞ্চলে কৃষির ক্ষতির পরিমাণ আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। এতে বড় ক্ষতিতে পড়েছে সিলেটের কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট জেলার উপ-পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন জানান, প্রথম দু’দফা বন্যায় এ অঞ্চলে ২২৮৩ হেক্টর আউশ ধান, ১১৭ হেক্টর রোপা আমনের বীজতলা এবং ৫৬ হেক্টর জমির শাক-সবজিসহ মোট ২৪৫৬ হেক্টর জমি পুরোপুরি বিনষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪৯১ জন কৃষক। এছাড়া সর্বশেষ বন্যায় আরও ২৮১৫ হেক্টর আউশ ও বীজতলা পানির নীচে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) পর্যন্ত কৃষি বিভাগের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, তৃতীয় দফা বন্যায় ২২৮৩ হেক্টর আউশ ধান ও ১১৭ হেক্টর রোপা আমনের বীজতলা তলিয়ে গেছে। পানি কমতে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত বন্যায় সিলেট জেলায় ফসলের ৫০ লক্ষ টাকার উপরে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যার পানি দ্রুত নেমে গেলে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ কমবে। নতুবা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি সবমিলিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার উপরে হতে পারে বলে কৃষক ও কৃষি বিভাগ সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
কৃষি বিভাগ জানায়- সরকার সিলেট জেলায় বন্যায় চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ১৬০টি বীজতলা প্রণোদনা দিয়েছে। তবে, করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তাসহ কৃষিক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রণোদনা দেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।
অপরদিকে, ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য প্রদর্শনী হিসেবে সিলেট জেলায় ১৬০টি ভাসমান বীজতলা প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। সরকার নির্ধারিত বরাদ্দ হওয়া এসব বীজতলার মধ্যে সিলেট জেলায় মোট ১৬০ জন কৃষককে বীজতলা প্রদান করা হবে। এছাড়া, অতীতের মতো এবারও কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ ও প্রান্তিক কৃষকদের আরও প্রণোদনা দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে।