শরীফ আহমদ:: করোনাভাইরাস বদলে দিয়েছে কোরবানি বাজার। অনলাইনে বাড়ছে বেচা-কেনা। স্বাস্থ্য সচেতন ও প্রযুক্তিপ্রিয় ব্যক্তিরা মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘরে বসে কোরবানির পশু কেনার দিকে ঝুঁকছেন। খামার অথবা নির্ধারিত স্থান থেকে ক্রেতার বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করছেন অনেক বিক্রেতা। দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনাল মাঠ, লালাবাজার, জালালপুর বাজার, রাখালগঞ্জ বাজার, রেঙ্গাহাজীগঞ্জ বাজার ও কামালবাজার জাবেদ অটো রাইস মিল প্রাঙ্গণে একটি গরুর হাট বসেছে। এবারের ঈদে দক্ষিণ সুরমায় ৬টি গরুর হাট বৈধ হয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায় ক্রেতা সাধারণের ভীড় নেই। কিছু ক্রেতা শুধু দরকষাকষি করছেন। এছাড়াও দক্ষিণ সুরমায় ১১৭টি নিবন্ধনকৃত গরু খামার রয়েছে। এসব খামারগুলোতে প্রতিনিয়ত দেশীয় গরুর বেচা কেনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদে আসলে রাস্তার মোড়ে মোড়ে গরু দাড় করিয়ে বিক্রি হওয়ায় এখন বাজারের হাট গুলোতে ক্রেতা সাধারণ কম আসে। তাই ব্যবসা এখন তেমন ভালো না।
এদিকে অনলাইনের মাধ্যমে গরু বিক্রি করছে বিভিন্ন খামার। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি গরু খামার গড়ে উঠেছে। সেখানে প্রতিদিন ক্রেতারা গরু কিনতে ভিড় করছে। দক্ষিণ সুরমার সিলাম সরকারচকে বিসমিল্লাহ এর্গ্রো ও মকন দোকান এলাকায় হাজী এর্গ্রো ফামের্র অনলাইনে পশু কেনাবেচায় সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রযুক্তির কল্যাণে গেলো কয়েকবছর ধরে অনলাইনে পশু কেনাবেচার ধারার আর্বিভাব হলেও এবছর তা বেড়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে অনেকে এই পন্থা অবলম্বন করছেন।
বিসমিল্লাহ এগ্রোর পরিচালক সাহেদ আহমদ জানান, এবছর করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থাকায় ক্রেতারা গরুর হাটে না গিয়ে খামারগুলোতে ভীড় করছেন। আমরা স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা চিন্তা করে অনলাইনে গরু বিক্রি করছি এবং ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। দেশী গরুর চাহিদা বেশী।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জুনাইদ কবীর বলেন, স্বাস্থ্য ঝুকি এড়াতে খামার গুলো থেকে গরু বিক্রি বৃদ্ধি পাচ্ছে। খামার গুলো অনলাইনের ব্যবস্থা থাকায় এ পর্যন্ত উপজেলা ৭৪শতাংশ গরু বিক্রি হয়েছে।