সিলেট : দীর্ঘ ১৬ বছর পর সিলেট জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত বছরের ২৮ জুলাই। কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে তিনবছর মেয়াদি এ কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন ভিপি শামীম আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মো. শামীম আহমদ। গতকাল এই কমিটির একবছর পূর্ণ হয়েছে। দুই শামীম নেতৃত্বে আসার পর দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে সিলেট জেলা যুবলীগে প্রাণের সঞ্চার হয়। দলীয় নানা কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতির শুরুতে মানুষের পাশে দাড়িয়েছে জেলা যুবলীগ। স্থবির অবস্থা থেকে জেলা যুবলীগ রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হলেও দুঃখ কাটেনি সংগঠনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত থাকা নেতাকর্মীদের। এর কারণ মেয়াদের এক তৃতীয়াংশ সময় পের হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়া। তাদের দুঃখ বছরের পর বছর ধরে জেলা যুবলীগের রাজনীতিতে তারা সক্রিয় থাকলেও এখনো পাননি কোন পদ-পদবি, পরিচয়। তাই তাদের দাবি যতদ্রুত সম্ভব জেলা যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা। এতে সংগঠন আরো শক্তিশালী হবে। তবে করোনার কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি আটকে আছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীলরা। এ ব্যপারে সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আহমদ বলেন, তারা দায়িত্ব পাওয়ার পর জেলা য্বুলীগকে মাঠে সক্রিয় করতে পেরেছেন। সেই সাথে দলীয় সকল কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে পেরেছেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটির ব্যপারে তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য তারা প্রস্তুত। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কমিটি জমা দিয়ে কেন্দ্রে অনুমোদন হতে বিলম্ব হবে। করোনা পরিস্থিতি একটি স্বাভাবিক পর্যায়ে এলে যেকোন সময় তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দিতে প্রস্তুত আছেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের পর গত বছরের ২৮ জুলাই সিলেট জেলা যুবলীগের নতুন আলোর মুখ দেখে। সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে এদিন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। পরে সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর রিকাবিবাজারস্থ নজরুল অডিটোরিয়াম কাউন্সিলরদের ভোটে নেতৃত্বে আসেন দুই শামীম।