দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধিঃ সিলেটে ট্যাঙ্কলরী শ্রমিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ও সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে অনির্দিষ্ট কালের কর্মবিরতি চলাকালে সিলেট বিভাগীয় ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক ইউনিয়ন-২১৭৪ এর নেতৃবৃন্দের সাথে বাংলাদেশ ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের এক জরুরী সভা গতকাল ৪ জুলাই শনিবার দুপুর ২ টায় হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়াস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন,মহামারী করোনাভাইরাস চলাকালে জাতীয় পদার্থ তেল সরবরাহ বন্ধ রাখলে দেশের জনগণ অনেক কষ্টের মধ্যে পড়বে এবং ভোগান্তির শিকার হবেন। জনগণের কষ্টের কথা বিবেচনা করে আপাতত কর্মবিরতি স্থগিত করতে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ আহবান জানান।কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অনুরোধে সিলেট বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করেন। বক্তারা আরো বলেন,সিলেট রেলওয়ে থানা কর্তৃক কোন ট্যাঙ্কলরী শ্রমিককে গ্রেফতার করলে সাথে সাথে সর্বস্তরের শ্রমিকবৃন্দ পুনরায় সারাদেশ ব্যাপী কর্মবিরতি সহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। পূর্বাঞ্চল কমিটির আহবায়ক ও বাংলাদেশ ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শাহজাহান ভূইয়ার সভাপতিত্বে জরুরী সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আব্দুল মতিন মুন্সি,সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা,পূর্বাঞ্চল কমিটির সদস্য যথাক্রমে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ,সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন রানা,কুমিল্লা ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক ইউনিয়নে সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিলু,ফেনী জেলা ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই সুমন,সিলেট বিভাগীয় ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন,সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল আজিজ।উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি কাউছার আহমদ,সহ সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ,অর্থ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন,প্রচার সম্পাদক মোঃ গোলাপ খান,সদস্য আব্দুল জলিল,হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ফায়ছাল মিয়া,সহসভাপতি সেলিম আহমদ চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম,সাংগঠনিক সম্পাদক আজমল আলী,অর্থ সম্পাদক বেনু মিয়া,দপ্তর সম্পাদক নুর ইসলাম,প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। উল্লেখ্য,২৯ জুন সোমবার বেলা ১১টায় রেলওয়ে সিলেটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) আকবর হোসেন মজুমদার লরি রাখাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন শ্রমিকরা আহত হন। হামলার প্রতিবাদে ও মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সিলেট বিভাগে ২ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের কর্মবিরতি শুরু হয়।