April 25, 2024, 7:37 pm

সংবাদ শিরোনাম :
জমির ধান নষ্ট করে দিলো প্রতিপক্ষ: দিশেহারা কৃষক সিলেটে ইট ভাটা নিয়ে নজিরবিহীন কেঙ্ককারী বিশ্ব গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে, বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না : প্রধানমন্ত্রী সুজানগর ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মাওলানা লুৎফুর রহমানের মৃত্যু ”গুজব সংবাদ ফেসবুকে” বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বিজিবির নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে সচিবদের :প্রধানমন্ত্রীর বইমেলা বাঙালি জাতিসত্তা দাঁড় করাতে সহায়ক : কবি নুরুল হুদা দুর্নীতি-অনিয়ম র অভিযোগে ডৌবাড়ী প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের ৪ সদস্য বহিষ্কারের অভিযোগ ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী গোয়াইনঘাটের শীর্ষ কুখ্যাত চোরাকারবারী কালা মিয়া বিছানাকান্দি সীমান্তে অবৈধ পথে ঢুকছে ভারতীয় গরু :নেপথ্যে গোলাম হোসেন! বাদাঘাট মসজিদে ৫ লাখ টাকার অনুদান দিলেন সেলিম আহমদ এমপি রতনের আশীর্বাদ : যাদুকাটা গিলে খাচ্ছে রতন-মঞ্জু গোয়াইনঘাটে স্কুলের নামে প্রবাসীর জমি দখল গোয়াইনঘাটে এক শিবির নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ  সিলেটে শেখ হাসিনার প্রথম সফর স্মরণ করে আবহবিচ’র দু’আ মাহফিল শেখ হাসিনার সিলেট শুভাগমণের ৪৩ বছর সোমবার সিলেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক এমপির আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা নির্বাচিত সুনামগঞ্জের গোলাম আজম তালুকদার দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মোখা:‘পরিস্থিতি বুঝে’ এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নির্বাচনের ৪ দিন আগে নতুন যে প্রতিশ্রুতি দিলেন এরদোগান উত্তাল পাকিস্তান, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘটত না: ট্রাম্প কী হচ্ছে, আর কী হবে তা সময়ই বলে দেবে: অপু বিশ্বাস সুদান থেকে ফিরলেন আরও ৫১ বাংলাদেশি
বাসায় অসুস্থ দুই সন্তান রেখে করোনা ইউনিটে সেবা দিচ্ছেন ডা. আয়শা

বাসায় অসুস্থ দুই সন্তান রেখে করোনা ইউনিটে সেবা দিচ্ছেন ডা. আয়শা

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: নাটোর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আয়শা সিদ্দিকা আশা। আউটডোর মেডিকেল অফিসার হিসেবে গাইনি বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন। বর্তমানে দেশের এই পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নিয়মিত করোনা কেয়ারের রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তিনি। দুধের সন্তানদের বাসায় রেখে রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ছুটে যান।

ডা. আয়শা সিদ্দিকা আশার দুই সন্তান। বড় সন্তানের বয়স ৩ বছর আর ছোট সন্তানের বয়স ১১ মাস। দুটি সন্তানই অসুস্থ। তারপরেও তাদের বাসায় রেখে হাসপাতালে রোগী দেখতে যান আশা। নাটোরের এই চিকিৎসক দুই সন্তানসহ পরিবারের জন্য দোয়া চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একজন সেবাগ্রহীতা ইয়াসিনপুর কলেজের অধ্যক্ষ সাজেদুর রহমান বলেন, বমর্তমান এই সময়ে ভয়ে অনেক চিকিৎসক হাসপাতালে আসছেন না। কিন্তু ডাক্তার আশা অসুস্থ দুই সন্তানকে বাসায় রেখে করোনা ইউনিটে আসা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি তার এই মমত্ববোধ সত্যিই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন তিনি।

ডা. আয়শা সিদ্দিকা আশা জানান, ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি সকলের মঙ্গলকামনা করে অসুস্থ দুই সন্তানের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। চলমান এই পরিস্থিতিতে কোন ভাবে কর্তব্যের অবহেলা করার সুযোগ নেই। তিনি নিজে যতক্ষণ সুস্থ থাকবেন করোনা ইউনিটের রোগীদের সেবা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান বলেন, চিকিৎসকদের যতটা সম্ভব নিরাপত্তার মধ্যে থেকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। নাটোরে করোনা উপসর্গ বেশ কিছু রোগী পেয়েছি। সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনেও রেখেও রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত জেলায় ১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি।

করোনায় অসহায়দের ২২ মণ সবজি দিলেন রংপুরের কৃষক

সবজি উৎপাদনের এলাকা বলে খ্যাত রংপুর অঞ্চলে করোনার প্রভাবে সারাদেশ কার্যত অচল হয়ে পড়ায় কাঁচা তরিতরকারি ও সবজি বাজারে ধস নেমেছে। কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাওয়া তো দূরের কথা পানির দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের উৎপাদিত পণ্য। ফলে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে করোনার প্রভাবে দিশেহারা অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে নিজের উৎপাদিত ২২ মণ সবজি দিয়েছেন রংপুর সদর উপজেলার পালিচড়া গ্রামের কৃষক বিপ্লব কুমার। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সমাজের অনেক মানুষ ঠিক মতো খেতে পারছে না। সেই তুলনায় আমার পরিবার অনেক ভালো আছে। অসহায় দুস্থ মানুষদের কথা চিন্তা করে আমি ক্ষেতের সবজি ‘উই ফর দেম’ নামের একটি সংগঠনকে দিয়েছি। তারা ত্রাণ সামগ্রীর সাথে এসব সবজি বিতরণ করবে।

রংপুরের বৃহৎ কাঁচা তরিতরকারির আড়ৎ সিটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পানির দামে বিক্রি হচ্ছে সবজিসহ কাঁচা তরিতরকারি। একমাত্র আদা ১২০ টাকা কেজি ছাড়া অন্যসব তরিতরকারির দাম খুবই কম। ব্যবসায়ীরা জানান, শসা ২০ টাকা কেজি, করলা ২৫ টাকা, গাজর ১৫ টাকা, ভেন্ডি ৩০ টাকা, বরবটি ২০ টাকা, রসুন ৬০ টাকা, ফুলকপি বড় সাইজ ১০ থেকে ১৫ টাকা, বাঁধাকপি ১০ টাকা, পটল ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল নিয়ে অলস সময় পার করছেন, খদ্দের নাই বললেই চলে। এছাড়া গ্রামের হাট-বাজারে কাঁচা তরিতরকারির দমি আরও কম। দেশিয় পিঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ১৫ টাকা কেজি, টমেটো ১০ টাকা, বেগুন ৫ টাকা কেজিতে নেমে এসেছে। তার পরেও খদ্দের মিলছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

বুড়িরহাটের তরিতরকারি ব্যবসায়ী স্বপন মিয়া বলেন, এবারের মতো এতো কম দাম গত ২০ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে কখনও দেখিনি। প্রতিদিনই লোকসান গুণতে হচ্ছে। কারণ এসব পণ্য তো দুই দিনের বেশি রাখা যায় না।

তাছাড়া অর্থ সংকটে খদ্দেররা প্রয়োজনের অর্ধেক কিনছে। সাহেব আলী নামের আরেক ব্যবসায়ী জানান, নির্দিষ্ট সময়ে শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষ বাজারে আসছে ঠিকই। কিন্তু কমদামে সবজি কেনারও সামর্থ্য তাদের নেই। তিনি বলেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের পথে বসা ছাড়া কোনো গতি থাকবে না।

সবজি উৎপাদিত এলাকাগুলোতে কৃষকদের অবস্থা আরো করুণ। রংপুরের বলদীপুকুর, দমদমা, জায়গীরহাট, রানীপুকুরের মতো বড়বড় সবজি ও তরিতরকারির পাইকারি হাটে ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন তরিতরকারির স্তুপ পড়ে থাকলেও খদ্দের নেই। ফলে এসব সবজি রাস্তায় ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

জায়গীরহাটের সবজি চাষি ভোলানাথ ও আলম মিয়া বলেন, আমরা মূলত সবজি চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করি। এবার আমাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। পানির দামেও নেবার কেউ নেই। এমনি সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ব্যাবসায়ীরা সবজিসহ কাঁচা তরিতরকারি কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যেত কিন্তু এবার তারা কেউই আসছেন না। ফলে পানির দামে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তারা।

এদিকে একঝাঁক উদ্যমী তরুণ করোনা ক্রান্তিতে দিনে-রাতে সমানে লড়ছে। কখনো খাবার হাতে, কখনো বা ওষুধ নিয়ে। নতুবা হ্যান্ড মাইক আর রঙ-তুলি নিয়ে ছুটছে ওরা। থেমে নেই ওদের করোনা যুদ্ধ। ওরা সবাই ‘উই ফর দেম’ এর স্বেচ্ছাসেবী।

করোনার প্রভাবে দিশেহারা অসহায় মানুষের জন্য স্বেচ্ছায় কাজ করছে ওরা। ওদেরকে উৎসাহিত করতে অনেকেই বাড়িয়ে দিচ্ছেন সহায়তার হাত। এবার ‘উই ফর দেম’ টিমকে বিনামুল্যে ক্ষেতের ২২ মণ সবজি দিয়েছেন রংপুর সদর উপজেলার পালিচড়ার কৃষক বিপ্লব কুমার। এর মধ্যে রয়েছে আট মণ মিষ্টি কুমড়া এবং ১৪ মণ বেগুন।

বিপ্লব কুমার বলেন, ‘এমনিতে সবজির দাম নেই, এই সময়ে ঘরে থাকা অসহায়দের দিতে পারলেও কাজে লাগবে।’উই ফর দেম এর প্রতিষ্ঠাতা জীবন ঘোষ বলেন, আমাদের একটু কষ্টে যদি কয়েকজন মানুষের পেট ভরে তাতে মন্দ হয় না। আমরা সেই চেষ্টাই করছি।

কৃষক বিপ্লব কুমারের দেওয়া ২২ মণ সবজি অসহায় মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হবে জানিয়ে তিনি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়ে আসা পর্যন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সবার সহযোগিতা চান।





Calendar

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  



  1. © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2017 sylhet71news.com
Design BY Sylhet Hosting
sylhet71newsbd