প্রা’ণঘা’তী করো’নার তা’ন্ডবে বিপ’র্যস্ত পুরো পৃথিবী। এশিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য সব জায়গায় পড়েছে করো’নার থাবা। করো’নার প্রাদুর্ভাব রুখতে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা সহ বহু প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবেও ২ ম’সজিদ বাকি রেখে সব ম’সজিদ, স্কুল-কলেজ, অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে ২ ম’সজিদ খোলা থাকলেও দিন দিন কমছে মু’সল্লি সংখ্যা।
এদিকে দিন দিন কাবা শরিফ ও ম’সজিদে নববি মু’সল্লিহীন হয়ে যাওয়ায় আগেবপ্রবণ হয়ে পড়েন শায়খ ড. আব্দুর রহমান সুদাইসি। তিনি ম’সজিদে হারাম ও ম’সজিদে নববির প্রধান ই’মাম ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তার আবেগমাখা প্রার্থনা সবার হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ টুইটারে তিনি উল্লেখ করেন-
– হে আল্লাহ! আপনার ঘর থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করবেন না।
– হে আল্লাহ! আমাদের পাপের কারণে পবিত্র ম’সজিদের নামাজের জামাআত থেকে বঞ্চিত করবেন না।
– হে আল্লাহ! আপনার কাছে আমাদের আবার ফিরিয়ে নিন।
– হে আল্লাহ! আমাদের তাওবা কবুল করুন।
– হে আল্লাহ! আমাদের এবং মু’সলিম উম্মাহকে সব ধরনের মহামা’রি ও দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে হেফাজত করুন।
কাবা শরিফের প্রধান ই’মাম শায়খ আব্দুর রহমান আস-সুদাইসির আবেগঘন এ আহ্বান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এভাবেই ওঠে এসেছে। আল্লাহর কাছে তিনি আরও আহ্বান করেন-
– হে আল্লাহ! মু’সিবত দিন দিন কঠিন থেকে কঠিন হচ্ছে। চারদিক অন্ধকার হয়ে আসছে। তুমি ছাড়া আমাদের ফরিয়াদ শোনার আর কেউ নেই হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া আর কে আছে? হে আল্লাহ! যার কাছে আম’রা সাহায্য চাইব।– হে আল্লাহ! আমাদের এ অবস্থার ওপর দয়া করুন। আমাদের অক্ষমতাগুলো দূর করে আমাদের ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! তুমিই আমাদের অ’ভিভাবক।
শায়খ সুদাইসি আবেগঘন সেরা যে আবেদনে মু’সলিম হৃদয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে তাহলো-
হে আল্লাহ! এ বিপদ মহা’মা’রির কারণে তোমা’র ঘরে যেতে না পারার ব্যথা আর সইতে পারছি না। হে মহান শক্তিমান, দয়া করে এই মহামা’রি দূর করে দাও।এদিকে কাবা শরিফের আজান পরিবর্তন স’ম্পর্কে টুইটে তিনি আরও লেখেন, “আজ থেকে আম’রা মুয়াজ্জিনকে এ শব্দ বলতে শুনবো যে, ‘সাল্লু ফি রিহালিকুম’। অর্থাৎ নিজ নিজ জায়গায় নামাজ পড়ে নাও।”