September 21, 2025, 5:56 am

সংবাদ শিরোনাম :
ব্যবসায়ী আলী হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টায় রিয়াজ মেম্বারের ভাই গ্রেফতার বড়লেখার রাজনীতিতে পরীক্ষিত নেতৃত্ব প্রভাষক ফখরুল ইসলাম বাংলাদেশীদের জন্য দুবাইয়ের গোল্ডেন ভিসা উত্তরা বিমান দুর্ঘটনা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫০ : প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব আগস্টে নতুন জুলাই সংবিধান আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক এনসিপির রহমানিয়া টুকা হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সিলেটে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, চলতি বছরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: শিশুর লাশে ভরে গেল ক্যাম্পাস, ২৫ জন আশঙ্কাজনক সিলেট মহানগরীর ১৪নং ওয়ার্ডে তালামীয ইসলামিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সাংবাদিকের উপরে মিথ্যা মামলা কোম্পানীগঞ্জে ফ্যাসিস্টের দোসরদের পুণর্বাসন নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে বিএনপি নেতার উপর হামলা মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিচার শুরু কুলাউড়ায় বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশির লাশ তুলে নিল ভারত মাহি-শাবাব হত্যার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি যুক্তরাজ্যে ছবি ভাইরাল: নবীগঞ্জে ওয়ালিদের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ কুলাউড়া সীমান্তে আবারও পুশইন, ১৪ জন আটক ওসমানী হাসপাতালে সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ সিলেট সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৬ জনকে আটক হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সাবেক এমপি ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে ছাত্রশিবিরের কোরআন কুইজে হিন্দু শিক্ষার্থীর বিজয় সারা দেশে গণজমায়েতের ডাক এনসিপির প্রতিটি রক্তবিন্দুর প্রতিশোধ নেয়া হবে: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারের আপিল শুনানি শেষ, রায় ২৭ মে এম.সি কলেজ তালামীযের কাউন্সিল সম্পন্ন সিলেটে এবার বিষ্ফোরক আইনে ২৮৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মিজানকে জড়িয়ে অপপ্রচারের নিন্দা ও হুমকিদাতাকে গ্রেফতারের দাবি সিলেটে সাবেক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা: ষড়যন্ত্রমূলক দাবি পরিবারের সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে বাংলাদেশী নিহত দিরাইয়ে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৬ ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
মার্কিন গবেষকদের মতে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে সুস্থ থাকা সম্ভব

মার্কিন গবেষকদের মতে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে সুস্থ থাকা সম্ভব

Please Share This Post in Your Social Media

নামাজ বা সালাত হল ইসলাম ধর্মের প্রধান উপাসনা কর্ম। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাযের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক বা ফরজ। নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।

নামাজ নিয়ে গবেষণা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিংহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। পরে তারা দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফলে বলেছেন, এটা প্রমাণ করেছে যে, দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার মাধ্যমে মানুষ স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও উপকৃত হতে পারে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে।

গবেষকরা বলেছেন, নামাজের সময় শারীরিক যে ক্রিয়া হয়ে থাকে এটা যদি নিয়মিতভাবে ও নির্ধারিত সময়ে হয় তবে অন্য সব চিকিত্সা থেকে পিঠের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা পালন করবে এই নামাজ।

শারীরিক এই উপকার ছাড়াও নামাজ আল্লাহর সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক বৃদ্ধি করে। আর এই সম্পর্ক মানুষের আত্মাকে প্রশান্ত করে।

নিয়মিত নামাজ শরীরের ওপর এই ঝিম প্রভাব, র’ক্ত’চাপ এবং হূদস্পন্দন কমাতে পারে, পরিণামে পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে। বিংহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখিয়েছেন, যদি কেউ ঠিক মতো রুকু করতে পারে তাহলে তার পিঠে কোনো ব্যথা থাকবে না।

কেননা রুকুর সময়ই পিঠ সমান হয়ে থাকে। এই গবেষণায় মূলত নামাজ পড়লে শারীরিক যে উপকারগুলো হবে সেই বিষয়গুলোকেই বড়ো করে তুলে ধরা হয়েছে।

রুকু : নিচের পিঠ, উরু এবং ঘাড়ের পেশিগুলো সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত করে। র’ক্ত শরীরের ওপরের অংশে প্রবাহিত হয়।

সিজদা : সিজদা দিলে হাঁড়ের জোড়ার নমনীয়তা বাড়ে। মাথা নামানোর সময় মস্তিকে র’ক্ত সঞ্চালন হলে র’ক্ত’চাপও কমে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। সিজদার পুনরাবৃত্তি : এই সিজদা শরীরের ভারসাম্য এনে দেয়।

তবে এটা সত্য যে নামাজ শারীরিক উপকারের জন্য পড়তে হয় না। নামাজ পড়তে হয় মহান আল্লাহর আদেশ পালন করার জন্য। তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জনের জন্য।

মুসলিম উম্মাহর স্মৃতি বিজড়িত স্থান ইরাকের নাজাফ ও কারবালা। কারবালায় শাহাদাত বরণ করেন ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু। প্রত্যেক বছর ইরাকের নাজাফ থেকে কারবালার পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন অনেক শিয়া-সুন্নি মুসলমান ও দর্শনার্থীরা।

নাজাফ থেকে কারবালা পর্যন্ত দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার পথ আরামে ভ্রমণ করার জন্য রাস্তার দুই পাশে গাছ লাগানোর ব্যয় বহুল পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন পাকিস্তানি ব্যবসায়ী মোহাম্মাদী দরবার।পাকিস্তানের করাচিতে বসবাসরত সাবেক শিল্পপতি ব্যবসায়ী মোহাম্মদী দরবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ইমাম হুসাইন রহমাতুল্লাহি আলাইহির স্মৃতির স্মরণে অনেক শিয়া-সুন্নি মুসলমান নাজাফ থেকে কারবালার পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।

তিনি জানান, ‘আমার স্ত্রী ও নাতনি ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথের এ যাত্রায় অংশগ্রহণ করে। যাত্রাপথে মরুভূমি উষ্ণ বায়ু ও রোদের তাপে তাদের মখু ঝলসে যায়। তাদের দেখেই বুঝতে পারি যে এ পথে যে বাতাস প্রবাহিত হয়, তা কতটা উষ্ণ।

তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নাজাফ থেকে কারবালা পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে ছায়াদানকারী গাছ লাগানো ব্যবস্থা করবো। কেননা এ পথে প্রত্যেক বছর লাখ লাখ শিয়া-সুন্নি জিয়ারতকারী নাজাফ থেকে কারাবালায় পায়ে হেঁটে যায়। দীর্ঘ এ পথের দুই পাশে তেমন কোনো ছায়াদানকারী গাছ নেই বললেই চলে। তার আত্মীয়-স্বজনকে দেখেই তার এ বিষয়টি নজরে আসে। তা থেকেই তিনি দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার পথে ছায়াদানকারী গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। যাতে অন্ততঃ দর্শনার্থীদের গরমের কষ্ট দূর হয়।

নাজাফ থেকে কারবালা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি ইরাক সফর করেন। ইতিমধ্যে তিনি এ অঞ্চলের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগ করে গাছ লাগানোর অনুমতিও পেয়েছেন।

ব্যবসায়ী মোহাম্মাদি দরবার এ দীর্ঘ পথে শুধু গাছ লাগিয়ে তার দায়িত্ব সম্পন্ন করবেন না, বরং তা রক্ষণাবেক্ষণেরও দায়িত্ব নেবেন তিনি। যাতে গাছগুলো বেঁচে থাকে।

ইতিমধ্যে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে নাজাফে কিছু চারা রোপন করেছেন এবং এগুলোর পরিচর্যাও গ্রহণ করেছেন। নাজাফের বাগানে ও রাস্তার পাশে চারাগুলো সুন্দরভাবেই বেড়ে ওঠছে বলেও জানান তিনি। পাকিস্তানের করাচি থেকে প্রথম চালানে ৮ প্রজাতির ৯ হাজার ৮০০ চারা পাঠানো হয়। এসব চারা গাছের কোনো কোনোটির বয় প্রায় ৮ মাস। ইরাকের অভ্যন্তরীন চলমান পরিস্থিতির জন্য গাছের প্রথম চালান পাঠাতে প্রায় একমাস দেরি হয়।

উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের করাচি থেকে এসব চারা ইরান হয়ে সড়ক পথে ইরাক নেয়া হবে। পুরো শীতকাল ইরাকের রাজধানী বাগদাদের একটি নার্সারিতে রাখা হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মার্চ থেকে শুরু হবে চারা রোপনের কাজ। গাছের চারাগুলোর সঙ্গে ১২ জনের একটি প্রশিক্ষিত কর্মীদলও পাঠানো হয়েছে ইরাকে। যারা চারা গাছগুলো দেখাশোনা করবে।

নাজাফ থেকে কারবালা পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে চারা গাছ রোপনে প্রায় ৩ বছর সময় লাগবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৫০ কোটি পাকিস্তানি রুপী বা প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হবে।তবে এ প্রকল্প গ্রহণকারী ৮৫ বছরের ব্যবসায়ী মোহাম্মাদি দরবার জানান, ‘রাস্তার দুই পাশে ছায়াদানকারী গাছের সুন্দর দৃশ্য আমি দেখে যেতে পারবো কিনা তা অনিশ্চিত। আল্লাহ তাআলা তাকে এ বিশাল কাজ হাতে নেয়ার সৌভাগ্য দান করায় তিনি আল্লাহ পাকের লাখো শোকরিয়া আদায় করেন।’

তিনি আরও জানান, ‘ প্রকৃতি ও মানুষের উপকারে গাছ লাগানোর মহতি কাজে নিজেকে শামিল করার চেয়ে ভালো কাজ আর কি হতে পারে!’





Calendar

September 2025
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  



  1. © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2017 sylhet71news.com
Design BY Sylhet Hosting
sylhet71newsbd