গোলাপগঞ্জ :: সিলেটের গোলাপগঞ্জে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক জব্দকৃত প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের পাথর নিলামে মাত্র ৭১ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
জানা যায়, নদী পথ দিয়ে আনা পাথরগুলো সড়কপথ দিয়ে বিক্রি করার জন্য ওই স্থানে রাখা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে পাথরগুলো নিলামে বিক্রি করে একটি চক্র বিশেষ ভাবে লাভবান হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে, জায়গা জমি বিক্রি করে পাথর ব্যবসায় নেমে এখন অনেকেই বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। গোলাপগঞ্জের ব্যবসায়ীদের ১০ কোটি টাকার পাথর পানির দামে কিনে নিয়েছেন সিলেট নগরীর একজন ব্যবসায়ী। গোলাপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌঘরী এলাকায় সুরমা নদী ও সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক পাশাপাশি অবস্থানে থাকায় অনেক ব্যবসায়ী উজানের কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া থেকে বর্ষাকালে নৌপথে পাথর এনে এখানে জমা রাখেন। বর্তমানে চৌঘরী এলাকায় সুরমা নদী ও সিলেট জকিগঞ্জ সড়কের মধ্যবর্তী প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পাথরের ব্যবসা চলছে। বর্ষাকালে আনা পাথরগুলো শুষ্ক মৌসুমে সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। জমাকৃত এ পাথর ভাঙার ক্ষেত্রে ম্যানুয়েল পদ্ধতির পাথর ভাঙার মেশিন ব্যবহার করা হয়। এ ব্যবসায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করেছেন। এতে কয়েক শত মালিক শ্রমিক সরাসরি জড়িত আছেন। বিশেষ করে লোভাছড়ার পাথর সড়ক পথ নির্মাণে উপযোগী বলে গোলাপগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ জাতীয় পাথর সরবরাহ করা হচ্ছে। গত ৩১ ডিসেম্বর সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে চৌঘরী এলাকা থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ওই পাথর জব্দ করা হয়। তখন এলাকার লোকজন এর কারণ জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ কোন সদুত্তর না দিয়ে অফিসে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। পরবর্তীতে ১০ কোটি টাকার পাথর নিলামে ৭১ লক্ষ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। গোলাপগঞ্জের ১০ কোটি টাকার পাথর নিলামে ক্রয় করলেন সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরের বাসিন্দা তুহেল আহমদ চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি। এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ইসরাত জাহান পান্না স্বাক্ষরিত একটি পত্রে জানা যায়, অবৈধভাবে পরিচালিত স্টোন ক্রাশারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে মালামাল আটক করা হয়েছে। আটক মালামাল পরিবেশ সংরক্ষণ আইন মোতাবেক নিলামে বিক্রি করা হয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।