দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে শীর্ষ পদ পেতে দৌড়ে রয়েছেন। তারা এখন আরামের ঘুমকে হারাম করে কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সম্মেলন ঘনিয়ে আসায় কদর বেড়েছে তৃণমূল নেতাদের। জমে উঠেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্মেলন। তবে শেষমুহুর্তে এসে সব হিসেবনিকেশ পাল্টে যাচ্ছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা নেতৃত্ব নির্বাচনে হিসেব মেলাতে শুরু করেছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ ১৫ বছর পর আগামী সোমবার সকাল ১১টায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনস্থল ইসরাব হাইস্কুল এন্ড কলেজে মাঠে প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
দল ক্ষমতায় থাকার সুবাধে যারা নিজের আখের গুছিয়েছেন তাদেরকে সুবিধাভোগী হিসেবে চিহ্নিত করছেন নেতাকর্মীরা। তবে অনেক মৌসুমী নেতা বিলেত থেকে বিমানে উড়ে এসে জুড়ে বসার চেষ্টা করছেন। তারা গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রার্থীও হয়েছেন। পদপদবী পাওয়ার জন্য তারা এখন মরিয়া। লবিং করছেন, নেতাদের বাসায় গিয়ে ধরনাও দিচ্ছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হবেন। বিকল্প হিসাবে সমঝোতার মাধ্যমেও কমিটি পারে। সমঝোতার পথ বন্ধ হয়ে গেলে ভোটাভুটি হবে। এক্ষেত্রে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরাই নির্বাচিত হবেন এমনটিই প্রত্যাশা তৃণমূলের। দলের দুর্দিনে নেতাকর্মীদের পাশে যারা ছিলেন তাদেরকেই নির্বাচিত করবে তৃণমূলের কর্মীরা। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে এমন আভাসই পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বর্তমানে নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সভাপতি পদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা ফখরুল ইসলাম সাইস্তা। সাইফুল আলম দীর্ঘদিন ধরে ভাপরপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্মেলনে তিনি ‘ভারমুক্ত’ হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম সাইস্তা ‘ক্লিন ইমেজে’র রাজনীতিক হিসাবে নেতাকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য। সাইস্তা দলের দুর্দিনে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন।
সূত্র জানায়, বিএনপি-জামাত সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে একাধিকবার কারাভোগ করেছেন সাইস্তা। এ বিষয়টি ওনেতাকর্মীরা মূল্যায়ন করবেন। ফলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পথ খুলে যেতে পারে তার।
এই দুজন ছাড়াও সভাপতি পদ মাঠে আছেন শাহ্ ছমির উদ্দিন, আব্দুর রব, শাহেদ আহমদ, আব্দুল মতিন ও তপন চন্দ্র পাল। সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুর রাজ্জাক, বদরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শামীম আহমদ ও সারওয়ার আলম মিতুনের নাম শোনা যাচ্ছে।