জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:লিবিয়া হয়ে ইতালিতে পৌছে দুর্বৃত্তদের হাতে জীবন গেল জগন্নাথপুরের রুহুল আমিনের।
সংসারের অভাব দূর করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন ছিল রুহুল আমিনের।সেই স্বপ্ন নিয়ে জীবন বাজি রেখে লিবিয়া হয়ে দালালের মাধ্যমে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্বৃত্তরা তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দিল না। প্রায় ২ সপ্তাহ আগে একদল যুবক তাকে মারধর করে। এতে তার মুখে ও মাথায় গুরুত্বর জখম হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে গেলে ইতালিয়ান পুলিশ তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে ২০ সেপ্টেম্বর রুহুল আমিনের মৃত্যু হয়।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের বালিকান্দি গ্রামের দিনমজুর আব্দুল হান্নানের ছেলে রুহুল আমিন। এ খবর আসার সাথে সাথে পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
কান্না যেন থামছে না মা-বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনদের। কারা তাকে হত্যা করেছে বিস্তারিত জানেন না রুহুল আমিনের পরিবার।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রুহুল আমিন ইতালির সিসিলো ক্যাম্পে আশ্রয় পান। কয়েক দিনের মধ্যে থাকার অনুমতিপত্র দেওয়া হবে বলে মা-বাবাকে জানান রুহুল।
নিহত রুহুল আমিনের দিনমুজুর বাবা তার ছেলের মৃত্যুর সঠিক তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও ছেলের লাশ দেশে এনে পারিবারিকভাবে দাফনের ব্যবস্থা করতে স্থানীয় এমপি অর্থ পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নানসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নিহত রুহুল আমিনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ মে স্থানীয় দালালের মাধ্যমে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার চুক্তিতে লিবিয়া হয়ে ইতালি রওয়ানা হন রুহুল আমিন। কিছুদিন লিবিয়া অবস্থানের পর ইঞ্জিন নৌকাযোগে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছান তিনি।