ডেস্ক রিপোর্ট:: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার দলীয় কোন্দল নিরসনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আব্দুল বাছির। আর দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় কোম্পানীগঞ্জের ওসি আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন ও অপসারনের দাবি জানিয়ে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন তিনি। মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) পৃথক দুটি স্মারকলিপিতে তিনি এ আবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া আবেদনে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আব্দুল বাছির উলেখ করেন- ওসি আব্দুল হাই ও তার সহযোগিদের দুর্নীতির কারনে কোম্পানীগঞ্জ থানার সুশৃংখল আওয়ামী লীগে বিশৃংখল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সহ সিনিয়র নেতাদের মাধ্যমে বৈঠক করে দ্বন্ধ দুর করার দাবি জানান তিনি। অন্যথায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারেন বলে আশংকা প্রকাশ করেন। ওসি আব্দুল হাই গোয়াইনঘাট থানায় দায়িত্ব পালনকালে যে দুর্নীতি, চাদাবাজি ও প্রতারনা করেছেন তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। ওসি আব্দুল হাই পূর্বে গোয়াইনঘাট থানায় দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামী লীগের একপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে আরেক পক্ষকে শারিরীক ও আর্থিকভাবে ক্ষতি করেছেন। এতে করে গোয়াইনঘাট আওয়ামী লীগেও বিশৃংখল অবস্থা দেখা দিয়েছে বলে আবেদনে উলেখ করেন তিনি।
এদিকে স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর বরাবর দেওয়া আবেদনে উপজেলা চেয়ারম্যান উলেখ করেন- গত ১৬ই আগস্ট তার ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী শামীম আহমদ দুর্নীতিবাজ ওসি আব্দুল হাইয়ের অপকর্মের ব্যাপারে পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি বিরোধী বলয়ের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তার ছেলে হাজী শামীম আহমদ, কলেজ পড়–য়া নাতী মো. জাকারিয়া হোসেন ও কেফায়েত উলাহ সহ পরিবারের সদস্য এবং এলাকার লোকজনকে বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ আগষ্ট শামীম আহমদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
তার ছেলে শামীম আহমদ এক ব্যবসায়ী উলেখ করে আবেদনে উপজেলা চেয়ারম্যান দাবি করেন- আগামী উপজেলা নির্বাচনে শামীম আহমদ সম্ভাব্য উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদিন এলাকায় গণসংযোগ করে আসছে। এ কারনে প্রতিপক্ষরা প্রভাব বিস্তার করে ওসি আব্দুল হাইকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে শামীম সহ আমার পরিবারের লোকজনকে মামলায় জড়াচ্ছে। ওসি আব্দুল হাই কোম্পানীগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকে সর্বত্রই চাদাবাজি, প্রতারনা সহ ভোলাগঞ্জ ও অন্যান্য পাথর কোয়ারি থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাদাবাজি করছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান কোম্পানীগঞ্জের শান্তি শৃংখলা রক্ষায় অবিলম্বে ওসি আব্দুল হাইকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে অপসারনের জন্য স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।