ডেস্ক রিপোর্ট:: শোকের মাস আগস্টে দলীয় গঠনতন্ত্রের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জের ৬টি ইউনিয়নে যুবলীগের কমিটি দেওয়ায় উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক কে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (২৫ আগস্ট) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির ১৩ সদস্য বিশিষ্ট স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্বারকলিপিতে যুবলীগের আহ্বায়ক হাজী আলা উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও রাসেলকে অব্যাহতি দান ও ৬ ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে উলেখ করা হয়, গেল বছরের ১৮ জুলাই কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক পত্রে কোম্পানীগঞ্জে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর থেকে নেতৃবৃন্দ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে কর্মী সম্মেলন করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, তরুণ, মেধাবী ও রাজপথের অকুতোভয় সৈনিকদের নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নের যুবলীগের কমিটি ঘোষনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু যুবলীগের আহ্বায়ক হাজী আলা উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও রাসেল অন্যান্য নেতৃবৃন্দের না জানিয়ে অযোগ্য, অদক্ষ ও স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ৬ ইউনিয়নের কমিটি প্রদান করেন তারা। এ নিয়ে উপজেলা যুবলীগের অন্যান্য সকল নেতৃবৃন্দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নেতৃবৃন্দের মধ্যে চরম অসন্তুষ দেখা দিয়েছে।
তাই উপজেলা যুবলীগের সকল নেতৃবৃন্দ আহ্বায়ক হাজী আলা উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও রাসেলকে অব্যাহতি দান ও ৬ ইউনিয়নের কমিটি বাতিলের দাবিতে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপির অনুলিপি তারা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য, যুবলীগের সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক বরাবর প্রদান করেন।